পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সরকারকে বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। তবে এর মধ্যে সরকারের কাছ থেকে আশানুরুপ সাড়া না পাওয়ায় আবারো আন্দোলনে যেতে পারেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকরা। যোগাযোগ করা হলে জাগো নিউজকে এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক নেতা।৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুন:স্থাপনের দাবিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবিতে প্রায় নয় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে ছিল টানা ৯দিনের কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি। এই সময়ে সারাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্লাশ-পরীক্ষা নেননি আন্দোলনরত শিক্ষকরা। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাগুলো নেয়া হয়।এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে বসেন শিক্ষক নেতারা। প্রধানমন্ত্রী সেদিন শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষকরা।এসময় শিক্ষক নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপর আস্থা রেখে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে এসময় তারা হুঁশিয়ারি করে বলেন, আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার নয়, শুধু কয়েকদিনের জন্যে স্থগিত করছি যেটি আন্দোলনেরই অংশ।এসময় তারা সরকারকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এসময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করবে সরকার।সরকারকে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে আজই। তবে এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।তিনি বলেন, আমরা ৪ ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেশনের বৈঠক ডেকেছি। আজকের মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা বৈঠকে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।আবারো কর্মবিরতিতে ফিরতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি সময়ই বলে দেবে। এমন সিদ্ধান্তও আসতে পারে। তবে আমরা আমাদের ‘কমিটমেন্ট’ রাখতে চাই।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক নেতা জানিয়েছেন তারা আবারো আন্দোলনে ফেরার চিন্তাভাবনা করছেন। এক শিক্ষক নেতা বলেন, আমাদের একটি নিজস্ব দলীয় সমর্থন থাকলেও সবার আগে আমরা শিক্ষক। সে হিসেবে আমরা আমাদের দাবি আদায়কেই অগ্রাধিকার দিবো। এমএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement