ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলার মাঠ জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান আবাদ। ইতোমধ্যে ক্ষেতে পাতো লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। তবে আমন ধানে লোকসান হওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮২ হাজার ২০ হেক্টর। শীত উপেক্ষা করে জেলার কৃষকরা ক্ষেতে পাতো লাগানোর কাজ শেষ করেছেন।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের কৃষক সোহরাব মিয়া জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন। ১৫ দিন আগে তার জমিতে পাতো লাগানো হয়েছে। সেচসহ অন্যান্য খরচ হিসেবে ইতোমধ্যে বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা করে খরচ পড়েছে। আশা করছি সব কিছু ঠিক থাকলে ফলন ভালো পাব।আরেক কৃষক জানান, ৩৩ শতকের এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে ৩৬ থেকে ৪০ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন, যার বাজার মূল্য ২ হাজার ৭৪০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘায় ধান চাষে প্রায় ১০ হাজার ২৪০ টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ২০ মণ ধান উৎপন্ন হলে গড়ে ৫০০ টাকা প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এতে বিঘা প্রতি আয় হয় ১০ হাজার টাকা। তাতে কৃষকের ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছু হয় না।এসএস/এমএস
Advertisement