দেরিতে হলেও সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনকে এবার প্রথম সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলানো হলো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হলো এবাদতের। আবির্ভাবে হইচই ফেলে না দিলেও রেখেছেন সম্ভাবনার ছাপ। দারুণ এক ইয়র্কারে উপরে ফেলেছেন টিম বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দেয়া সিকান্দার রাজার স্ট্যাম্প।
Advertisement
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের নাভিঃশ্বাস তুলে ছেড়েছেন সিকান্দার রাজা। টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং লণ্ডভণ্ড করে দেন তিনি। এককথায় সিকান্দার রাজার ইস্পাত কঠিন মনোবল আর উইলোর দাপটের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ।
সেই দুর্দমনীয় হয়ে ওঠা সিকান্দার রাজাকে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত ইয়র্কারে শূন্য রানে ফিরিয়ে এবাদত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি পারেন। একদিনের ম্যাচেও তার বোলিং কাজে দিতে পারে। আর তাই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ স্কোয়াডেও এবার তাকে নেয়া হয়েছে।
আজ শেরে বাংলায়। ওয়ানডে অভিষেকে আত্মবিশ্বাস ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা সিকান্দার রাজাকে আউট করার পিছনের গল্প শুনিয়েছেন এবাদত। জানালেন, দ্বিতীয় ম্যাচের সময়ই বোলিং কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন কিভাবে সিকান্দার রাজাকে আউট করা যায়?
Advertisement
‘বলছিলাম সিকান্দার রাজা খুবই ভালো খেলছে। দ্বিতীয় ম্যাচের সময় কোচের সাথে কথা বলছিলাম কিভাবে কি করা যায়? যেহেতু সে খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতেছে এবং তার কন্ডিশন ও উইকেটটা ভালো। কোচের সাথে প্ল্যান করেছি, আমারও একটা প্ল্যান ছিল। সে আত্মবিশ্বাসী আর আমিও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমার শক্তি নিয়ে।’
টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়ে বেশ খুশি এবাদত। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
এতকাল টেস্ট খেলার পর এখন ধীরে ধীরে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলে নাম লেখানোর ইচ্ছা? টেস্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টির পার্থক্য কী? এশিয়া কাপে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কী?
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এবাদত টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির পার্থক্য খোঁজার চেষ্টা করেন। তার ব্যাখ্যা, ‘টেস্টে দেখেন, সারাদিন বল করার একটা রিদম থাকে, আর টি-টোয়েন্টি হল শর্টার ফরম্যাট। এখানে মানিয়ে নেওয়ার মতো ব্যাপার হলো বুদ্ধি খাটিয়ে বল করতে হবে।’
Advertisement
তার ধারনা, ‘এশিয়া কাপে যেহেতু উইকেট ভালো থাকবে, ব্যাটাররা আগ্রাসী থাকবে। তো পরিকলনা করে বল করাটাই মূল বিষয় আমার কাছে মনে হয়।’
এশিয়া কাপ হবে আরব আমিরাতে। দুবাই, শারাজায় অনেক গরম। তবে তা নিয়ে ভাবছেন না। এবাদতের ভাষায়, ‘গরম কোনো এক্সকিউজ না, আমাদের দেশেও অনেক গরম। গরম আমার কাছে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। উইকেটটা ওখানে ভালো থাকবে বুদ্ধি করে বল করতে হবে।’
এশিয়া কাপে নিজেদের মানে বোলারদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে এবাদত বলেন, ‘আমরা বোলাররা যদি কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকে দিতে পারি তাহলে আমাদের ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। বাড়তি দায়িত্ব সবারই থাকবে, ব্যাটার হোক বোলার হোক। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো।’
এবাদতের অনুভব, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দল হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে পারছেন না। তাই পারফরমেন্স ভাল হচ্ছে না। মনে হচ্ছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলতে পারে না।
এবাদতের শেষ কথা, ‘টেস্টে বোলাররা বিশেষ করে পেসাররা ভাল করছে। এখন ওয়ানডেতে ভালো করার চেষ্টা করবো, (সুযোগ) আসলে টি-টোয়েন্টিতে চেষ্টা করবো। ভালোর তো শেষ নেই, ভালো করতে থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
এআরবি/আইএইচএস