জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের জন্য এডিশ মশাকেই দায়ী করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে যিনি মশার কামড় থেকে নয় বরং যৌন সম্পর্ক থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছে এমন কোনো এলাকায় ওই রোগী ভ্রমণ করেননি। তবে তার সঙ্গী সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা থেকে ফিরেছেন। জিকা ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে এবং এ ভাইরাসের সঙ্গে নবজাতক শিশুদের অপরিণত মস্তিষ্কের একটা সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ চিকিৎসকদের। চলতি মৌসুমে প্রথম ব্রাজিলে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও এখন তা আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাস নিয়ে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়া ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরা দুই অস্ট্রেলীয়র শরীরেও জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে ব্যক্তির এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তার বাস টেক্সাসের ডেলাসে। ব্রাজিল বলছে, অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া ৩ হাজার ৬৭০ শিশুর এ অবস্থার সঙ্গে জিকা ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক আছে কি তা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হলো জিকা ভাইরাস যৌনতার মাধ্যমে ছড়ায় নাকি। যদি তাই হয় তাহলে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনতার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি বিরল। তবে গতবছর তারা খোদ জিকা ভাইরাসের সংক্রমণকেই বিরল বলেছিলেন। তারপরও ব্যাপক আকারে এ ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষকে বিস্মিত করেছে। এ ভাইরাস ঘিরে অনেক প্রশ্নের উত্তরও এখনো মিলেছে না।এখন মূলত যে প্রশ্নগুলো সামনে আসছে তা হলো- যৌনতার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আসলে ঠিক কেমন বা আদৌ আছে না কি? এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও যাদের মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, তাদের মাধ্যমেও কি এই রোগ ছড়াতে পারে? জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন কোনো দেশে থেকে ফেরার পর মানুষের কী করা উচিৎ? তবে বিষয়টি এইডসের মতো ভয়াবহ নয়। এইডসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীরে এই ভাইরাস (এইচআইভি) একবার সংক্রমিত হলে তা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ দূর করা এখনো সম্ভব নয়। আর এর ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর জিকার হুমকিটা মূলত গর্ভাবস্থায়। এনএফ/পিআর
Advertisement