রাজধানীর উত্তরার বাস ট্রানজিট প্রকল্পের (বিআরটি) গার্ডারচাপায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, ভয়াবহ এ ঘটনায় ক্রেন পরিচালনা ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অবহেলা ছিল। ব্যস্ত সড়কে এ ধরনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকতে হয়, যা ওখানে ছিল না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দিয়ে যানবাহন চলছিল। তাই এটাকে আমরা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা বলছি, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা আরও বলেন, আমাদের দেশে অধিকাংশ সরকারি প্রকল্প নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয় না। অধিক মুনাফার লোভে ঠিকাদার বা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বারবার কাজের মেয়াদ ও বাজেট বাড়ায়। এতে রাষ্ট্রের যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, তেমনি জনভোগান্তিও বাড়ে। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত।
Advertisement
তারা আরও বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটছে। যেহেতু দেশে কোনো দুর্ঘটনার জন্যই দোষীদের শাস্তি হয় না এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে আদালতের নির্দেশনা আইনি মারপ্যাঁচে আটকে যায়, তাই এই ধরনের অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটেই চলেছে। এটা দেশে আইনের শাসনের পুরোপুরি ব্যত্যয়।
এর আগে সোমবার উত্তরায় প্রাইভেটকারে বিআরটি নির্মাণাধীন উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হন। বেঁচে যান কেবল গাড়িতে থাকা নবদম্পতি রিয়া আক্তার ও রেজাউল করিম হৃদয়। মর্মান্তিক এ ঘটনা সারাদেশে সাড়া ফেলে। নজিরবিহীন অব্যবস্থাপনার ফলে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলা দাবি করা। এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে তিনি ঠিকাদার কোম্পানিকে ব্ল্যাক লিস্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement