রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন।
সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
Advertisement
নিহতরা হলেন- আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝরণা আক্তার (২৭), জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (২)।
তবে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় একই গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামের নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। দুজনেই উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বজনরা জানান, ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝরণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝরণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝরণার সন্তান। ফাহিমা-ঝরণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।
এদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে সোমবার রাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও দুদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
‘এখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই’ উল্লেখ বিআরটি প্রকল্পের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন। এরপরও জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সোমবার আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
জেএ/এমকেআর/জেআইএম