জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারি প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার বা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয় রিটে।
Advertisement
রিটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ-সচিব এবং বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে৷ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, ‘যৌক্তির কারণ ছাড়াই অবৈধভাবে’ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তাতে ‘আইনের লঙ্ঘন’ হয়েছে। আকস্মিক এ মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবন-যাপনে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট দিনগত রাতে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১১৪ টাকা, পেট্রলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা করা হয়। ওইদিন রাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়।
Advertisement
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল আমদানিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।
তবে তেলের দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এভাবে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকট আরও ত্বরান্বিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফএইচ/এসজে/জেআইএম/এমকেআর