বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্বৈত ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, এটি করোনার মূল ধরনসহ নতুন ধরন ওমিক্রন রোধেও কাজ করবে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিনটি এখন শরতের বুস্টার ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না তাদের টিকা আরও উন্নত করেছে সম্প্রতি। তারা জানিয়েছে, নতুন এই ভ্যাকসিনের ১ কোটি ৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করবে এ বছর। ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের মতো এটিকেও জরুরি মনে করা প্রয়োজন।
মহামারিতে ব্যবহৃত আসল ভ্যাকসিন ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান থেকে ভাইরাসের প্রথম ধরনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সেভাবে ট্রায়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস তখন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, নতুন ধরনের সংক্রমণ ঘটছে, যা আমাদের কিছু প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারে। এরইমধ্যে কয়েকটি ধরন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
আসল ভ্যাকসিনগুলো এখনো গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করে। তবে সংস্থাগুলো ভাইরাসটি মোকাবিলায় আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।
মডার্নার সর্বশেষ ভ্যাকসিন - যাকে বলা হয় স্পাইকেভ্যাক্স। এটি মূল ধরন এবং প্রথম ওমিক্রন (বিএন.১) উভয়কেই গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করে। এটি একটি বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন হিসেবেও পরিচিত। যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি তথ্য প্রমাণ বিবেচনা করে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের এই অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডা. জুন রেইন বলেছেন: ‘এই বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন আমাদের যা দেয় তা আমাদের অস্ত্রাগারের একটি তীক্ষ্ণ হাতিয়ার যা এই রোগের বিরুদ্ধে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করবে। কারণ ভাইরাসটি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।’
ট্রায়ালে ৪৩৭ জনের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপডেট করা ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং নতুন ধরনের বিরুদ্ধে আরও ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ সেক্রেটারি স্টিভ বার্কলে বলেন যে এটি ‘যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার জন্য খুব ভালো খবর’ এবং যারা এটি নেওয়ার জন্য সক্ষম তারা ‘এটা জেনে স্বস্তি পাবেন যে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে’। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এটি মানুষের নাগালে চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/এমএস