ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের (২০০৯-২০১০) বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মরণিকা ‘আরশি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিভাগের সেমিনার কক্ষে স্মরণিকাটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ মাহফুজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যে শিক্ষাজীবন শেষে মিলিত হতে পেরেছো, এটাই আশাব্যঞ্জক। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে তোমরা। কর্মজীবনে সততার সঙ্গে কাজ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবে।’স্মরণিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরশি’ প্রকাশের মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসের অবদানের অংশীদার হয়ে গেলে তোমরা। সত্যিই তোমাদের প্রকাশনটা নান্দনিক হয়েছে।’প্রফেসর ড. নাজমা বেগম বলেন, ‘তোমাদের প্রকাশনা উৎসবে আসতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। কর্মজীবনে তোমরা সততার দিকটি খেয়াল রাখবে। মানবতার শিক্ষা কাজে লাগাবে।’প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার মতো একটা পদক্ষেপ তোমরা নিয়েছো, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আমরা এমন কিছু করতে পারিনি, তোমরা পেরেছো। এটা তোমাদের ব্যাচের সাফল্য। আমাদের বিভিন্ন কালচারাল প্রগ্রামের সাফল্য।’বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ করে প্রফেসর ড. মোঃ মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভবিষ্যতে তোমাদের যোগাযোগ রক্ষায় ‘আরশি’ দারুণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এই অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’অনুষ্ঠানে নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে এক বন্ধু আমাদের বিভাগের ৭৩ জন ছাত্রের নামে একটি কবিতা রচনা করেছিল। এখনো মাঝে মাঝে আমি তাতে চোখ বুলাই।’মোঃ শামীম হাসানের উপস্থাপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাকিব হোসেন, জেরিন তাসনিম রশিদ, নুর নবী, নিপুন, আরশির সম্পাদক জিয়া হক, আহ্বায়ক মু. শাহাদাত হাসান।অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন সুমাইয়্যা বুলবুল।এইচএন/পিআর
Advertisement