রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাসলেন এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে লাগা আগুনে অগ্নিদগ্ধ ছয়জনের মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) মর্গে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি সংস্থাটি।
Advertisement
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।
এসময় হাসপাতালের বাইরে নিহতদের স্বজদের কান্না আর আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। প্রত্যেকেই তাদের স্বজনের ছবি নিয়ে বারবার ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শনাক্তের দাবি জানান।
তবে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হওয়ায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারও মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
Advertisement
এদিন দুপুর ১২টার দিকে ওই প্লাস্টিক কারখানায় লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর ২টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ভবন থেকে এরইমধ্যে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচজনের চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। একজনের চেহারা শনাক্ত করা গেছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালিদা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, চকবাজার কামালবাগের দেবীদাস ঘাটের একটি পলিথিন কারখানায় আগুন লাগার পরই তা একটি রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ও পরে আরও চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে স্থানীয় ও উৎসুক জনতার ভিড়ে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়।
ওই প্লাস্টিক কারখানার ভবনসহ আশপাশের সব ভবন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ জানিয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখতে পেয়েছি, আশপাশের অনেক ভবনেই যত্রতত্র এরকম বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে এসব কারখানায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক ভবনে বাসিন্দাও আছেন। তাদের জন্য এসব ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ওই ভবনে পুরোপুরি তল্লাশির কাজ শেষ হলে ভেতরে আরও কেউ হতাহত আছেন কি না, তা জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এমআইএস/এমকেআর/এএসএম