ময়নুল ইসলাম মন্টু মিয়া। ছিলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য। বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় হাঁস পালন করে সফলতার মুখ দেখেছেন এই জনপ্রতিনিধি। বর্তমানে তার পৃথক দুটি খামারে পাঁচ হাজার হাঁস রয়েছে। এতে তার মাসিক আয় লাখ টাকার ওপরে।
Advertisement
খামারি মন্টু মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে প্রতি পিস ১৫-২৫ টাকা দরে একদিন বয়সী হাঁসের ছানা নিয়ে আসেন। এরপর গ্রামীণ পরিবেশে টানা ৭০ দিন পালন করার পর এগুলো বিক্রির উপযোগী হয়। ওইসময় হাঁসগুলো ২০০-২৫০ টাকা পিস দরে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান।
খামারে বাজার থেকে কেনা খাদ্য খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়ির পাশের ধানি জমি ও পুকুর-বিলে চড়ানো হচ্ছে এসব হাঁস। বাজার থেকে কেনা খাদ্য বেশি খাওয়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে হাঁসগুলো। ফলে হাঁস পালনে খরচের পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। বেড়েছে লাভের হার।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৬১টি হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় লক্ষাধিক হাঁস পালন করা হচ্ছে।
Advertisement
খামারি মন্টু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি অল্প সময়েই সফলতা অর্জন করেছি। আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে হাঁস পালন প্রকল্প চালু করবো।’
মন্টু মেম্বারকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া আরেক খামারি মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি আগে ব্রয়লার মুরগি পালন করতাম। তাতে আমি দুইবার মোটা অংকের লোকসানে পড়েছি। তবে এবার হাঁস পালনে অবিশ্বাস্যভাবে লাভবান হয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার দে বলেন, অন্যান্য পশু-পাখি পালনের চেয়ে বর্তমান সময়ে হাঁস পালন করে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত তরুণ-যুবকরা হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন। আমরা খামারিদের বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সবধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি।
মো. মাহাবুর রহমানর/এসআর/এএসএম
Advertisement