জাপানের টোকিও’র বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পর বিদ্রহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা– কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান অনুষ্ঠানে আসা অতিথি, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি ও জাপান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
Advertisement
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রূপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ ও স্বাধীন জাতির মর্যাদা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি হিসাবে আমাদের গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের গৌরবজনক পরিচিতি- এ মহান নেতার অবদান।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি টোকিও দূতাবাস প্রতিষ্ঠা ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাপান সফর সম্পন্ন করেছিলেন ১৯৭৩ সালে, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিলো।’
তিনি আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, আধুনিক ও উন্নত দেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতারা জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
Advertisement
এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জেএস/জিকেএস