ক্যাম্পাস

মধুর ক্যান্টিনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে লাঞ্ছনার দায়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।মারধরের শিকার ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহাগ মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের টিপু-বাদশা কমিটির (২০০৭ সালের কমিটি) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ ও জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। মারধরের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জাগো নিউজকে জানান, ‘সাবেক ওই নেতাকে কেউ চেনে না। দুপুরে সে হঠাৎ করে মধুতে এসে আমার পাশের চেয়ারে বসে। এরপর আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে। তার কথার ধরণ দেখে মনে হয়েছে সে মাতাল ছিল।’প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মাহমুদ দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এসে প্রিন্সের পাশের চেয়ারে বসেন। এ সময় প্রিন্স তার পরিচয় জানতে চাইলে সোহাগ উল্টা প্রিন্সের পরিচয় জানতে চান। এসময় প্রিন্স তার পরিচয় দিলে সাবেক ওই নেতা প্রিন্সের সাথে উদ্ধত আচরণ করেন এবং মারধরের জন্য তেড়ে যান। এসময় প্রিন্সের অনুসারী কর্মীরা সোহাগকে মারধর করে। পরে প্রিন্সের মধ্যস্থতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সূত্রে জানা যায়, সোহাগ মাহমুদ মানসিকভাবে সুস্থ না। সোহাগ রাজনীতিতে খুবই ত্যাগী নেতা ছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ পদ না পাওয়ায় সোহাগ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এ বিষয়ে শাখা মোতাহার হোসেন প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সে টেবিলের নিচ দিয়ে কি যেন বের করতে চায়। এসময় বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়। আমি ভয়ে মধুর পেছনের দিকে চলে যাই। তার এমন আচরণ দেখে সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগের বড় ভাই থামাতে আসলে সে তাদের উপরও তেড়ে আসে। আমিও নেতাকর্মীদের হাত থেকে তাকে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করতে চাইলে সে আবার আমার উপর তেড়ে আসে।’ এমএইচ/এসএইচএস

Advertisement