আন্তর্জাতিক

চীনের সাংহাই শহরে স্কুল খোলার প্রস্তুতি

চীনের সাংহাই শহরে পুনরায় স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে সব ধরনের স্কুল বন্ধ ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

রোববার সাংহাই মিউনিসিপ্যাল এডুকেশন কমিশনের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ক্যাম্পাস ছাড়ার আগে শহরের সব শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন করোনাভাইরাসের জন্য নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট করতে হবে।

এছাড়া স্কুল খোলার আগে সব শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীকে ১৪ দিনের জন্য ‘সেলফ হেলথ ম্যানেজমেন্ট’ অনুসরণ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে সাংহাইয়ে দুই মাসের লকডাউন ঘোষণার আগেই সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়। এপ্রিল এবং মে মাসে ওই শহরে হঠাৎ করেই কোভিড সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে।

Advertisement

তবে গত জুরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কিছু শিক্ষার্থী পুনরায় ক্লাসে ফিরেছে। শনিবার নতুন করে ওই শহরে পাঁচজনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরা সবাই উপসর্গহীন। অপরদিকে পুরো চীনে নতুন করে ২ হাজার ৪৬৭ কেস শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে চীনের পূর্ব থেকে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এসব শহরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই বিধিনিষেধ এবং লকডাউন স্থানীয় অর্থনীতির জন্য আবারও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সংক্রমণ কমিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নেয় চীন। জিরো কোভিড নীতির আওতায় গণহারে টেস্টিং, ট্রেসিং, লকডাউন জারি করা হয়। মূলত লোকজনের অপ্রয়োজনীয় চলাচল হ্রাস করতেই বিভিন্ন শহরে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় রপ্তানি ও উত্পাদন কেন্দ্র ইউ-এর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, তারা আগামী তিন দিনের জন্য ‘নীরব ব্যবস্থাপনা’য় প্রবেশ করবে। এর আওতায় ওই শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দা নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না। কেউ কেউ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়েও বের হতে পারবেন না। ওই শহরে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের বসবাস।

Advertisement

ইউ এবং অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। কোভিড টেস্ট, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় জিনজিয়াংম আকসু অঞ্চলের তিন শহরে বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। লোকজন শুধু কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হতে পারবে। এছাড়া তাদের ঘরেই থাকতে হবে। তবে কতদিন এই বিধিনিষেধ থাকবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

টিটিএন/এমএস