এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ এবার অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই টুর্নামেন্টের জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জায়গা পেয়েছেন সাব্বির রহমান রুম্মন। দীর্ঘ তিন বছর পর আবারও দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
Advertisement
অথচ, দল ঘোষণার আগে সাব্বির রহমান যে স্কোয়াডে ফিরতে পারেন, সে চিন্তাই ছিল না কারো মাথায়। এমনকি লিটন দাসের ইনজুরির কারণে যেখানে একজন ওপেনার খুব বেশি দরকার, সেখানে হঠাৎ মিডল অর্ডারে নেয়া হলো সাব্বিরকে। কেন, কোন যুক্তিতে, কোন পারফরম্যান্সের কারণে এশিয়া কাপের দলে ফিরলেন সাব্বির?
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানস্থ বাসভবনে আজ বিকেণে এক সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণার সময় এ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখিন হন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
জবাবে তিনি বলেন, ‘সাব্বির অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ওর খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই দলে নেয়া হয়েছে। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সাব্বিরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
Advertisement
মূলত দলের ইনজুরি তালিকা লম্বা হওয়া এবং ‘এ’ দলের সঙ্গে সাব্বিরকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঠানোর কারণেই তার ওপর নাকি আস্থা বেড়েছে নির্বাচকদের। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় কিছু খেলোয়াড়কে এভাবে চিন্তা করতে হয়। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেখতে হয়। যেহেতু এবার আমাদের ইনজুরি সংখ্যা বেশি সেদিক থেকে একজন বাড়তি মিডলঅর্ডার ব্যাটার দরকার। আর সাব্বিরকে ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাঠিয়েছি সেখানে খেলে সে আন্তর্জাতিক আবহ আরেকটু পাবে। সেটা সে জাতীয় দলে কাজে লাগাতে পারবে। সাব্বির ডিপিএলে খুব একটা খারাপ খেলেনি। এরপর তো সে নার্সিংয়ে আছে টাইগার্সে, এরপর ‘এ’ দলে। এই অভিজ্ঞতা তার জন্য বিরাট পাওয়া। এগুলো কাজে লাগিয়ে সে জাতীয় দলে অবশ্যই ভাল করবে।’
আলোচনায় ছিলো সৌম্য সরকারের নাম। সাব্বিরকে নেয়া হলো, সৌম্যকে কেন নয়? এছাড়া এবাদত হোসেনকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘এবাদত শেষ বিপিএলে খুব ভাল করেছে। সেই চিন্তা করে ওকে দলে নেয়া হয়েছে। সৌম্য চোখের আড়াল হয়নি। হলে তো ‘এ’ দলের হয়ে উইন্ডিজে পাঠাতাম না। ভবিষ্যতে আমাদের চিন্তায় আছে।’
টি-টোয়েন্টিতে তো বাংলাদেশ দলে পারফরমারই নেই। সে হিসেবে নির্বাচকদের ওপর একটা চাপ থাকে দল তৈরি করার ক্ষেত্রে। এবারের স্কোয়াড তৈরিতে খেলোয়াড়দের নির্বাচনের বিষয়ে কোন দিকটি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে? জবাবে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এ জায়গাটায় একটা প্রশ্ন আছে। কিন্তু আপনারা দেখছেন না যে ক্রিকেটারদের কয়েক জায়গায় দেখা হচ্ছে। যেহেতু এখন ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, সে কারণে আমরা ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ক্যাম্পে দেখছি। এইচপি আছে, টাইগার্স আছে- ওখান থেকে বিবেচনা করেই দল তৈরি করা হচ্ছে।’
দল নিয়ে অধিনায়কের মতামত নেয়া হয়েছে কি না? এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অধিনায়কের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভাল অবস্থানে নেই। তো সেসব বিবেচনায় নিয়েই দল তৈরি করেছি। আশা করছি এশিয়া কাপে ভাল কিছু করবে এই দল। সেখানে কঠিন প্রতিযোগীতা হবে, এর আগে জিম্বাবুয়েতে ভাল করতে পারিনি। আশা করছি এই দলটা এশিয়া কাপে ভাল করবে।’
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/