পঞ্চগড়ে সিনিয়র সহকারী জজ মো. লুৎফর রহমানের বাসায় আম্বিয়া (১২) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিহত গৃহকর্মীর শয়নকক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু আম্বিয়া নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি গ্রামের মজসেদ আলীর মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলা জজকোর্টের সিনিয়র সহকারী জজ মো. লুৎফর রহমানের শ্বশুরবাড়ি এলাকার শিশু আম্বিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আম্বিয়ার শয়নকক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ এবং ডাকাডাকির পরও কোনো শব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয় জজ লুৎফর রহমান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ঘরের জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী জজ মো. লুৎফর রহমান বলেন, সে প্রতিদিন টেলিভিশনে ভারতীয় চ্যানেলের সত্যঘটনা অবলম্বনে ক্রাইম পেট্রোল দ্যাস্তকসহ বিভিন্ন ক্রাইম অনুষ্ঠান দেখে। আমার মনে এমন কোনো অনুষ্ঠানের ঘটনায় প্রভাবিত হয়েই সে আত্মহত্যা করেছে। মো. লুৎফর রহমানের স্ত্রী মোকারমা মারজি মিম বলেন, রাতের খাওয়া শেষে সে টেলিভিশন দেখে তার শয়নকক্ষে চলে যায়। সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো শব্দ না পেয়ে আমরা পুলিশে খবর দেই। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে বলতে পারছি না।পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। আমরা এসে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখেছি। দরজা ভেঙ্গে ঘরের জানালার গ্রিল থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি। সুরতহালে নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের অভিভাবক এখনো আসেনি। তাদের সঙ্গে কথা বলে ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সফিকুল আলম/এআরএ/আরআইপি
Advertisement