আন্তর্জাতিক

কে এই টেড ক্রুজ?

মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হিসেব-নিকেশে ব্যাপকভাবে আঘাত করেছেন। মঙ্গলবার আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ককেশাসে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটিতে প্রথমেই টেক্সাসের সিনেটর ক্রুজের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন ট্রাম্প। ক্রুজের বিজয় আইওয়াতে নির্বাচনী আমেজে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। ট্রাম্পের পরাজয়ে রিপাবলিকান দলের আরেক প্রার্থী ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওর সঙ্গে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী কয়েক মাস পুরো দেশজুড়ে এ ধরনের ভোটাভুটি চলবে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে। একই অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন হারিয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্সকে। জুলাইয়ে উভয় দলের জাতীয় কনভেনশনে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ককেশাসে ২৮ শতাংশ ভোট পাওয়া টেড ক্রুজের জন্ম কানাডার ক্যালগেরি শহরে ১৯৭০ সালে। তবে তিনি বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে কম্পিউটার প্রোগ্রামার মা ইলিনর ক্রুজ ও কিউবার শরণার্থী বাবার সঙ্গে। টেডের বাবা নিজ দেশে চরম নির্যাতন ও কারাভোগের পর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে পড়াশুনা শেষ করার পর টেড তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ফার্মে কাজ নেন। রিপাবলিকান দলের এই মনোনয়ন প্রত্যাশীর বড় ভাই ডালাসের খ্রিস্টান ধর্ম যাজক।তার এক ছেলে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসি বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। ১৯৯৯ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি টেড ক্রুজের। সে সময় বুশের নির্বাচনী প্রচারণার পলিসি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। নির্বাচনে বুশের জয়ের পর টেড সহযোগী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পান। পরে ২০০৮ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে প্রাইভেট অনুশীলনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।সারাহ পোলিন সহ রিপাবলিকান দলের ডানপন্থি প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সমর্থন পাওয়ার পর ২০১২ সালে টেক্সাসের সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। তার মেয়াদে থাকাকালীন অন্তত ২৫টি বিল উপস্থাপন করেন টেড। এর মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ, অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার দায়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করে টেড বলেন, বিশ্বে ইসলামিক মৌলবাদীদের বিস্তারে আর্থিক সহায়তা করছে ওবামা প্রশাসন। একই সঙ্গে তিনি অভিবাসী ইস্যুতে ওবামার নীতি পরিবর্তনের পরিকল্পনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ধ্বংসের পায়তারা বলে অভিযোগ করেন। ২০১৩ সালে মার্কিন নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করেন টেড ক্রুজ। নির্বাচনী প্রচারণায় নাগরিকদের অধিকার নিয়েও বেশ সোচ্চার তিনি। আগ্নেয়াস্ত্র ইস্যুতে মার্কিন নতুন নীতিকে নাগরিকদের জন্য অধিক নিরাপদ বলে দাবি করছেন তিনি। এসআইএস/এমএস

Advertisement