আজ বিশ্ব হাতি দিবস। জনসচেতনতা বাড়াতে ২০১২ সালে কানাডিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস, মাইকেল ক্লার্ক ও থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রধান শিভাপর্ন দারদারানন্দ বিশ্ব হাতি দিবস পালন করা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরের ১২ আগস্ট বিশ্ব হাতি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
Advertisement
আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, গত দশ বছরে বিশ্বে হাতির সংখ্যা ৬২ ভাগ কমেছে। প্রাণী বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ, গ্রামবাসীদের হাতে হাতি নিধন ও চোরাশিকারীর উপদ্রব কমাতে না পারলে স্থলচরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ প্রাণীটি ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর যে হারে হাতি কমছে, তাতে ১০ বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও এ প্রাণীর অস্তিত্ব থাকবে না।
পৃথিবীতে এখন এশিয়ান ও আফ্রিকান এ দুই ধরনের হাতি দেখা যায়। আফ্রিকান হাতিদের পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই দাঁত থাকে। এশিয়ান হাতির মধ্যে শুধু পুরুষ হাতির দাঁত আছে।
Advertisement
হাতি ১২ বছর বয়সে সন্তান প্রসব করতে পারে। তবে প্রাণী জগতের সবচেয়ে দীর্ঘতম সময় ২২ মাস গর্ভধারণের পর হাতি সন্তান প্রসব করে।
এক শতাব্দী আগে বিশ্বে ১২ মিলিয়নেরও বেশিসংখ্যক হাতি ছিল। আজ এ সংখ্যাটি চার লাখেরও কম হতে পারে। একটি জরিপ বলছে, প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার হাতি শিকারীদের হাতে মারা যাচ্ছে।
তথ্য অনুসারে, ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে হাতিগুলোর ভৌগলিক পরিসীমা প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। আফ্রিকাজুড়ে বড় বড় উদ্যান গড়ে তোলার কারণে হাতির আবাসস্থল ধ্বংসের বিষয়টি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে অবৈধ শিকার প্রাণীটির অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসএএইচ/এমএস
Advertisement