শরীরচর্চা করতে গিয়ে কিংবা জোরে হাঁটতে গিয়ে অনেকেরই পেশিতে টান লাগে। তাই বলে তো আর শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না। তবে হঠাৎ দৌড়াতে বা জোরে হাঁটতে গিয়ে যাতে আঘাত না লাগে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
Advertisement
চিকিৎসকদের মতে, জগিং বা দৌড়ানো শুরু করার পর পেশিতে টান ধরা বা যন্ত্রণা হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই বলে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেবেন না। এই যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করতে জেনে নিন কী করণীয়-
>> পায়ের গোড়ালি মচকে গেলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ গোড়ালিতে আঘাত লাগলে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়ে পা ফুলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য দৌড়নো বন্ধ করে অন্যান্য ব্যায়াম করুন।
বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগান। এই আঘাত সেরে উঠতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যায়। ভবিষ্যতে এই ধরনের আঘাত এড়াতে গোড়ালির পেশির জোর বাড়ান।
Advertisement
>> উরুর পেছনের অংশের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরে। অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত দৌড়ালে এই আঘাত লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাধারণত হাঁটু মুড়ে বসার সময়ে এই ব্যথা অনুভূত হয়।
বেশি আঘাত পেলে তাৎক্ষণিক দৌড়ানো বন্ধ করুন ও কিছুদিন বিশ্রাম নিন। এ ধরনের সমস্যা তাদেরই বেশি হয় যারা ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করেন না। তাই যখনই ব্যায়াম করবেন তার আগে ৫-১০ মিনিট ওয়ার্ম আপ অবশ্যই করুন।
>> জোরে হাঁটা বা দৌড়নোর সময় পায়ের নীচের অংশের সামনের হাড়েও ব্যথা হতে পারে। সাধারণত খুব জোড়ে ও অতিরিক্ত দৌড়নোর কারণে এই আঘাত লাগে। অতিরিক্ত দৌড়নোর ফলে হাড়ের চারদিকের টিস্যুতে ভাঙন ধরে ও পা ফুলে যায়।
এ সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই দৌডোনো বন্ধ করে দিন। বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগালে কিছুটা আরাম মিলবে। যন্ত্রণা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Advertisement
জেএমএস/এমএস