শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সজীব হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানকে বহিস্কার করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়।
এ দু নেতাকে বহিস্কার করার আগে গত ৩ আগস্ট (বুধবার) তাদের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত জবাব ৩ কার্যদিবসের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে লিখিত আকারে জমা দিতে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ দুই নেতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে ডাইনিং, ক্যান্টিন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে করা অনুসন্ধানে প্রমাণ মিললে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে তাদের চাঁদাবাজির খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর ডাইনিং কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও তারা চাঁদা দেন না এ মর্মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার প্রচেষ্টা চালান এ দুই নেতা। এ খবরও প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট নেতারা চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় হলটির প্রভোস্ট, যা বহিষ্কৃত দুই নেতা তাদের স্ব-স্ব ফেসবুকে পোস্ট করেন।
Advertisement
পরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক কামাল আহমেদের কাছে চাঁদাবাজির সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘তাদের পীড়াপীড়িতে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যেটা সত্য সেটা বের হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে বহিস্কৃত দুই নেতার (সজীব, আরিফ) মোবাইল ফোনে কলে দিলেও তাদের পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া দেননি।
তবে শেকৃবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান নান্নু জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার যে অভিযোগ ছিল সেটির সত্যতা পাওয়া গেছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এসজে/এমএস
Advertisement