পেলে এবং ম্যরাডোনার মধ্যে সর্বকালের সেরার যে বিতর্ক, অনেকেই মনে করেন, তাতে যতি টেনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। পাঁচটি ফিফা ব্যালন ডি’অর যার হাতে উঠেছে, তাকে সর্বকালের সেরা না বলে উপায় কী। তবে এখানে ‘কিন্তু’ থেকে যায়। কারণ, মেসির ক্লাব সাফল্য যতটা না বেশি, ততটাই কম জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য। সবেধন নীলমনি- একটি মাত্রই সাফল্য রয়েছে মেসির। সেটা, ২০০৮ সালে অলিম্পিক গেমসের স্বর্ণ পদক। আট বছর পর সেই অলিম্পিকেই আবারও খেলার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন মেসি। অনুর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের নিয়ে এই দলটি গঠন করার নিয়ম থাকলেও, ২৩ বছরেরও বেশি তিনজন ফুটবলারকে রাখা যায় দলে। এটা অলিম্পিকেরই নিয়ম। সে হিসেবেই খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন মেসি। বিশেষ করে ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবল উন্মাদনা দেখেই রিওতে আবার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু মেসির এ আর পূরণ হলো কই! আর্জেন্টিনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনোই যে মেসিকে আর অলিম্পিক খেলাতে চান না! আসলে, মেসির ইচ্ছাকে অসম্মান করে নয়, তার ইনজুরির কথা বিবেচনা করেই অলিম্পিকে মেসিকে না খেলানোর পক্ষে আর্জেন্টাইন কোচ। জাতীয় দলের হয়ে এমনিতেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে মেসিদের সামনে। বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই, কোপা আমেরিকার শতবর্ষ- এত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচগুলো বাদ দিয়ে মেসিকে অলিম্পিকে খেলাতে মোটেও রাজি নন আর্জেন্টিনা কোচ মার্টিনো। সোমবারই আর্জেন্টিনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো জানিয়ে দিয়েছেন, মেসিকে অলিম্পিক দলে না খেলানোর কথা। তিনি বলেন, ‘অলিম্পিকে নেয়া হচ্ছে না মেসিকে। কারণ, সামনে জাতীয় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে। অলিম্পিক ফুটবল ছাড়াও কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের চার রাউন্ডের খেলা। সুতরাং, মেসিকে অলিম্পিকে পাঠিয়ে অহেতুক ঝুঁকি নিতে চাই না।’আইএইচএস/এমএস
Advertisement