খেলাধুলা

সেমির পথে বাংলাদেশের বাধা নেপাল

অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো খেলবে, এটা আগে থেকেই ছিল অনুমেয়। সে অর্থে, বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কোনভাবেই চমক নয়। এটা প্রত্যাশিত। তাহলে, এবারের যুব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমকের নাম কী! চোখ বন্ধ করে যে কেউ বলে দেবে, কেন নেপাল!সত্যিই, হিমালয় পাদদেশের এই দেশটিই এখন ক্রিকেট বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের নাম। এক ভারতছাড়া গ্রুপ পর্বে বাকি দুই শক্তিশালি প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে রীতিমত বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে নেপালি যুব ক্রিকেটাররা। সুবাধে এখন তারাই যুব বিশ্বকাপের মূল পর্ব, অথ্যাৎ, কোয়ার্টার ফাইনালে। গ্রুপ পর্ব শেষ, এবার নকআউট। এই নকআউটেই হিমালয় দুহিতাদের পেয়ে গেলো বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠতে হলে, মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে এখন বাধার নামটি হলো নেপাল। তাহলে কী বলা যায়, বাংলাদেশ সেমিতে এক পা দিয়েই রাখল! ক্রিকেট যেমন গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, সে কারণে কোনভাবেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ, এই নেপালই তো নিউজিল্যান্ডের মত দেশকে হারিয়ে সবচেয়ে বড় বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিরাজও চান কোন চমকের শিকার না হতে। বরং সাবধানি থেকেই নিজেদের খেলাটা খেলে ম্যাচ বের করে আনার দিকে চোখ তার।শুধুমাত্র স্বাগতিক বলেই নয়, শক্তির বিচারেও এবারের যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অন্যতম ফেভারিট। মেহেদী হাসান মিরাজরা, গত দুই বছর ধরে যেভাবে প্রতিপক্ষদের একের পর এক নাস্তানাবুদ করে যাচ্ছিল, তাতে এমনিতেই ফেভারিটের তকমা পেয়ে গিয়েছিল তারা। যদিও শঙ্কা ছিল, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাওয়ার কারণে, সূচনাটা কঠিন হয়ে যায় কি না!কিন্তু; প্রোটিয়াদের বাধাকে ‘বাধা’ই মনে করাতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজরা। ৪৩ রানে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিয়ে দূরন্ত সূচনা করলো বাংলাদেশের যুবারা। পরের দুই প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়া। এ দুটি বাধা খুব বড় হওয়ার কথা ছিল না। হলোও না। স্কটিশদের ১১৪ রানে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর, নামিবিয়াকে ৬৫ রানে অলআউট করে দেয়ার পর জয় তুলে নিয়েছে ২০৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়টা ছিল কোয়ার্টারে ভারতকে এড়ানোর লক্ষ্য হিসেবে। কারণ, টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে ভারতকেও। সেই নামিবিয়াই যখন আগেরদিন হুঙ্কার ছেড়েছিল, মিরাজদের হারাবে বলে- সেটাই সম্ভবত তাদের জন্য কাল হয়েছিল বেশি। হয়তো বা ওই হুঙ্কারেই আরও বেশি দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ দলের যুবারা। ফলে, চলতি টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন রানে নামিবিয়াকে অলআউট করে ছাড়ল মিরাজরা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ হলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ‘ডি’ গ্রুপের রানারআপ নেপালকেই পেলো বাংলাদেশের যুবারা।আইএইচএস/এমএস

Advertisement