আইন-আদালত

ইভ্যালির ব্যবসা ফের চালু করতে আবেদন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির ব্যবসা ফের চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।

Advertisement

বুধবার (১০ আগস্ট) শামীমা নাসরিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম এ আবেদন করেন। আবেদনে রাসেলের ভায়রা, স্ত্রী শামীমা নাসরিন ও শাশুড়িকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।

অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম জানান, এছাড়া হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এ আবেদনে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে যেন অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি না করা হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।ৎ

গত ১৯ এপ্রিল ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট আবেদনের পক্ষভুক্ত হতে সংস্থার চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত আদেশে বলেন, এখন থেকে এ রিট মামলায় শামীমা নাসরিন ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।

Advertisement

ওইদিন রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেছিলেন, ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভুক্ত আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন কোম্পানিতে যে ৫০ ভাগ শেয়ার ছিল, তার মধ্যে ২০ ভাগ শেয়ার এরইমধ্যে তিনি নিজের মা ও বোনের স্বামীর নামে হস্তান্তর করেছেন।

তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সময় বিবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন না। তিনি আজকের আবেদনে বলেছেন, তাকে যেন এ মামলার বিবাদী হিসেবে গণ্য করা হয়। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ মর্মে আদেশ দেন যে, এখন থেকে শামীমা নাসরিন এ মামলায় ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্যে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।

Advertisement

বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এরপর চলতি বছরের ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম/এমকেআর