আইন-আদালত

মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ শুনানির পরবর্তী ওই দিন ধার্য করে দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এটি হলো আপিলে সপ্তম মামলা যা চুড়ান্ত নিস্পত্তির জন্য রয়েছে। মঙ্গলবার এ আপিল মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলাটি শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন জানান মীর কাসেমের পক্ষের প্রধান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির জানান, ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর ১৮১টি গ্রাউন্ডে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছে। দেড়শ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ডকুমেন্ট পেশ করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।এরআগে গত ৬ জানুয়ারি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। তবে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। এটি ছিল আপিলের ষষ্ঠ রায়। এছাড়াও আপিলের চূড়ান্ত পাঁচটি রায়ের পর জামায়াতের দুই সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। রায় পূণর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। এফএইচ/এনএফ/পিআর

Advertisement