একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৯৫ জন নয়, তৎকালীন মোট ২০০ জন পাকিস্তানি সেনা জড়িত ছিল। মঙ্গলবার তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পূর্ব ঘোষিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে আমরা আরো বিমান ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছি। চিহ্নিত এই ২০০ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার তালিকা দিয়েছি। আমাদের কাছে আরো অনেক তথ্য উপাত্ত আছে, পরে প্রকাশ করা হবে।আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার একটি আন্দোলন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে সমাবেশ করা হবে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দেশের শহীদ মিনারগুলোতে মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতিবাদ জানানো হবে।পাকিস্তানের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের সহতায়তার জন্য বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ সাহায্য এসেছিল। এর সম্পূর্ণ তৎকালীন পাকিস্তানের হাবিব ব্যাংকে জমা ছিল, যে অর্থ আজও পাকিস্তান ভোগ করছে। আমরা সেই ন্যায্যা হিস্যা চাই।সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকায় বলা হয়েছে, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মত ঘৃণ্য, মানবেতর ঘটনাগুলো নীল নকশা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দানের অভিযোগে অভিযুক্ত ৬৮ জন। জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক সকল যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেয় ১১৮ জন। ব্যাপক হারে গণহত্যায় অংশ নেয় ১৪ জন। এই ১৪ জনের মাঝে পাকিস্তান নৌ-বাহিনীর ৩ জন এবং বিমান বাহিনীর ৩ জন রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব এমদাদ হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন মহাসচিব ওসমান গণি, শিক্ষক নেতা আব্দুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এএসএস/আরএস/এমএস
Advertisement