জাতীয়

রিক্রুটিং এজেন্সির সমাবেশে বাধা, বিএমইটি ডিজির কাছে স্মারকলিপি

সমাবেশে বাধা পেয়ে বিএমইটি মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের নেতারা।

Advertisement

বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১ টায় রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসময় কয়েকজন বক্তব্য দেওয়ার পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের হস্তক্ষেপে তারা তাদের প্রতিবাদ সমাবেশ সমাপ্ত করে বিএমইটি মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সমাবেশে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের একজন ভুক্তভোগী বলেন, মানব পাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেবো। আমরা অভিবাসন আইন মেনে কাজ করছি। আমাদের যদি মানবপাচার মামলায় আসামি করা হয় তাহলে মন্ত্রী, সচিব এবং বিএমইটির মহাপরিচালকও আসামি হবে। কারণ আমরা তাদের নির্দেশনা মতো কাজ করি। অথচ সম্প্রতি র‍্যাবের এক কর্মকর্তা মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইডিবি কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেছে, আমরা আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে এই প্রতিবাদ সমাবেশ এখানেই সমাপ্ত করছি আমরা এখন বিএমইটির মহাপরিচালকের কাছে যাব স্মারকলিপি নিয়ে।

Advertisement

সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মানবপাচার আইনের অপব্যবহার করে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে কর্মী প্রেরণকারী বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতার অভিযান বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

এতে আরও বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্বে আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, সচিব, ডিজি বিএমইটিরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল যে, বাহিনীর কাছে অভিযোগ আসলে উক্ত অভিযোগ বিএমইটিতে প্রেরণ করা হবে এবং বিএমইটি যাচাই করে দেখবে বিষয়টি মানবপাচার কিনা। খুবই দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত চরমভাবে উপেক্ষা করে র‍্যাব    ধারাবাহিকভাবে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে মালিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানবপাচার আইনে অব্যাহত ভাবে গ্রেফতার করছে। বর্তমানে র‍্যাবের হয়রানিমূলক অভিযানের কারণে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা আত্মসম্মানের ভয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় দিন পার করছে। অসংখ্য স্বনামধন্য রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিএমিটি হতে কর্মী স্মার্ট কার্ড নিয়ে সরকারের যথাযথ বিধি-বিধান মেনে কর্মী বৈধভাবে গিয়েছে কিনা তা বিএবিটি যাচাই-বাছাই না করে বৈধ কর্মসংস্থানকেও মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ না হলে কর্মী প্রেরণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। একইসঙ্গে সার্বিকভাবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিএমইমিটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম রিক্রুটিং এজেন্সি নেতাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, আপনাদের দাবির প্রতি আমার সমর্থন আছে। আপনাদের এই স্মারকলিপি গ্রহণ করলাম মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। আপনারাও আবেগী না হয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টা তুলে ধরবেন। বিশেষ করে যার কথা বলছেন র‍্যাব তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে পারেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির দাতা এবাদত হোসেন, মকবুল আহমেদ, সানজিদা সুলতানা, কাজী আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

কেএইচ/জেএস/জিকেএস