কৃষি ও প্রকৃতি

মুরগির বাচ্চার যেসব আচরণ দেখে খামারের তাপমাত্রা বুঝবেন

মুরগির খামার থেকে বেশি আয় করতে হলে মুরগির বাচ্চার বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এ জন্য আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুরগির বাচ্চার যত বেশি যত্ন নেওয়া যাবে, সেই বাচ্চা থেকে তত বেশি ভালোমানের মুরগি পাওয়া যাবে। মুরগি বিক্রি করে বাজারে দামও বেশি পাওয়া যাবে। মুরগির বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য বাচ্চার ঘরের তাপমাত্রা সঠিক নিয়মে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগির বাচ্চার আচরণ দেখে তাপমাত্রা পরিমাপের কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা কম বেশি হলে ঠান্ডা গরমজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময়ে মুরগির বাচ্চার ওজনও সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। তাই এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চা মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাট ও বয়স্ক মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাট থাকা উচিত। মুরগির তাপমাত্রা মাপার জন্যে সব সময়ই খামারে একটা থার্মোমিটার রাখা উচিত।

এছাড়া মুরগির শরীরের ও ঘরের তাপমাত্রা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বা জানার থাকলে পাশের উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দেওয়ার জন্যে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। তাই সরকারি প্রণি সম্পদ কর্মকর্তার কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়াই ভালো হবে।

Advertisement

তাপমাত্রা কম হলে মুরগির বাচ্চাগুলো ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি হয়ে থাকবে এবং কিচিরমিচির করবে। তাপমাত্রা বেশি হলে বাচ্চাগুলো চিকগার্ডের গা ঘেঁষে জমা হয়ে থাকবে মুখ হা করে নিশ্বাস নেবে এবং মাথা ও ডানা ঝুলে পড়বে।

তাপমাত্রা সঠিক থাকলে বাচ্চাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। চঞ্চল মনে হবে। মৃদু শ্বাস করবে এবং স্বাভাবিভাবে খাদ্য ও পানি গ্রহণ করবে। মুরগির বাচ্চা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে কিনা এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বসহকারে খামারিদের খেয়াল করতে হবে।

বাচ্চার বয়স প্রথম সপ্তাহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাচ্চার বয়স দ্বিতীয় সপ্তাহে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। বাচ্চার বয়স তৃতীয় সপ্তাহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাচ্চার বয়স চতুর্থ সপ্তাহে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।

এমএমএফ/এমএস

Advertisement