দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুতের আলো আধারের খেলা

চলছে এসএসসি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এই পরীক্ষা। কিন্তু ঠিক এসময় ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে আলো আধারের খেলা। এ নিয়ে সংশয়ে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা।এসএসসি সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগের দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি রাতে শুরু হয় ঠাকুরগাঁও শহরে লোডশেডিং। থেমে থেমে এক ঘণ্টা করে দেয়া হয় লোডশেডিং। ১ ফেব্রুয়ারি রাতেও সেই একই ঘটনা চলে। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আদনান সরকার জাগো নিউজকে জানান, এমনিতো নতুন নিয়মে পরীক্ষা নিয়ে আমরা খুব অসুবিধায় আছি। তার উপরে আবার পরীক্ষার রাতে লোডশেডিং। এক প্রকার মরার উপরে খরার ঘা।ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী সেজুতি রানী জাগো নিউজকে জানান, পড়ার টেবিলে বসার পর যদি লোডশেডিং হয় তাহলে পড়ায় মন বসানো যায় না। আর এখনতো শীতকাল। তাহলে লোডশেডিং কী আমাদের পরীক্ষা খারাপ করার জন্য দেয়া হচ্ছে? ঠাকুরগাঁও সিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী মারুফা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, পরিক্ষার সময় লোডশেডিং হলে আমরা পড়বো কিভাবে। এতদিন লোডশেডিং ছিলনা এখন পরিক্ষার আগে শুরু হয়েছে।ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান সাবু জাগো নিউজকে জানান, পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে তারা প্রস্তুতি নিতে না পারলে পরীক্ষা খারপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর মাহামুদ জাগো নিউজকে জানান, আমরা লোডশেডিং বন্ধ করার জন্য দ্রুত চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করা যায় আমরা করবো। কয়েকদিন একটু অসুবিধা হবে পরীক্ষার্থীদের।ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস জাগো নিউজকে জানান, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। এটা মেরামতের জন্য ১০-১২ দিন সময় লাগবে। এজন্য রাত করে বিদ্যুতের চাপ বেশি হলে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/পিআর

Advertisement