কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) দৈনিক হাজিরাভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন কর্মীর মাঝে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরা সবাই বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর আমলে নিয়োগ পাওয়া।
Advertisement
তবে কুসিকের বর্তমান মেয়র আরফানুল হক রিফাত জানিয়েছেন নগর ভবনে বর্তমানে স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ৮৩ জন। যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কর্মী রয়েছে কিনা।
কুসিক সূত্র জানায়, বর্তমানে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৮৩ জন। তাদের প্রতি মাসে ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ টাকা বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী ৭৭৭ জন কর্মী আগে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে দৈনিক বেতন পেতেন। চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মনিরুল হক সাক্কু তাদের হাজিরা ৩৫০ টাকা করেন।
তাদের পেছনে সিটি করপোরেশনের খরচ প্রতি মাসে ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকা। কুমিল্লা সিটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ৫৯০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে লোকবল সঙ্কট দূর হয়ে স্থায়ী জনবল বাড়বে এবং দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা কমবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক হাজিরাভিত্তিতে কাজ করা একাধিক কর্মচারী বলেন, আগের মেয়র ছিলেন বিএনপির। তার আমলে আমাদের নিয়োগ হয়েছে। বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের। সেজন্য ভয় হচ্ছে রাজনৈতিক টানা হ্যাঁচড়ার মধ্যে যদি আমাদের চাকরি যায় পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই মেয়রের কাছে আকুতি আমরা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হই। আমাদের মধ্যে ৭৭৭ কর্মচারীর কেউই জুলাই মাসের বেতন পাননি।
এ বিষয়ে কুসিক মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর চেয়ে নয়গুণের বেশি দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মী। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এতে বিপুল অঙ্কের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাই এসব কর্মীর জুলাই মাসের বেতন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। তালিকা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক রাখবো। প্রয়োজন না থাকলে অন্যরা বাদ যাবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম
Advertisement