ফিচার

এস এম সুলতানের জন্ম ও মাকি কাজির প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

১০ আগস্ট ২০২২, বুধবার। ২৬ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৯১১- ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা সর্বপ্রথম বেতন গ্রহণের পক্ষে ভোট দেন।১৯১৩- বলকান যুদ্ধ অবসানে বুখারেস্ট চুক্তি সম্পন্ন হয়।১৯২০- প্রথম বিশ্বযুদ্ধশেষে মিত্র ও সহযোগী শক্তির সঙ্গে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সেভ্র্ চুক্তি স্বাক্ষরিত।১৯৪৫- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে জাপান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

জন্ম১৯১৭- ব্রাজিলীয় কথাসাহিত্যিক হোর্হে অ্যামাদোর।১৯২৩- বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান। তৎকালীন পূর্ব বাংলা, ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে দরিদ্র কৃষক-পরিবারে তাঁর জন্ম। শৈশবে পরিবারের সবাই তাকে লাল মিয়া বলে ডাকতো। তাঁর জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তাঁর শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তাঁর ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণির দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তাঁর ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিও বাজাতেন। ১৯৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর তিনি একুশে পদক পান।১৯৭৩- আর্জেন্টাইন ফুটবলার হাভিয়ের জানেত্তি।১৯৯০- আমেরিকার অভিনেতা লুকাস টিল।

Advertisement

মৃত্যু০৮৪৭- আব্বাসীয় খলিফা আল আবু জাফর হারুন ইবনে মুহাম্মদ আল মুতাসিম।১৯১৫- আণবিক সংখ্যার তত্ত্ব, এক্স-রে বর্ণালিতে মোসলে সূত্রের প্রবক্তা, ইংরেজ পদার্থবিদ হেনরি মোসলে।১৯৮০- পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান।২০২১- অঙ্কের খেলা সুডোকুকে জনপ্রিয় করে তোলা মানুষটি পরিচিত ‘সুডোকুর গডফাদার’ নামে। আসল নাম মাকি কাজি। ১৯৫১ সালে জাপানের সাপ্পোরো শহরে জন্ম তাঁর। কেইও ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হয়ে পাজল ম্যাগাজিন নিকোলি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালের আগস্ট মাসে। যদিও মার্কিন স্থপতি হাওয়ার্ড গার্নস ১৯৭০-এর দশকে ‘নাম্বার প্লেস’ নামে গেমটির আধুনিক সংস্করণ দিয়েছিলেন। তবে মাকির এই নাম পছন্দ ছিল না। তাই তিনি জাপানি নাম চাচ্ছিলেন। তবে সুডোকুর ট্রেডমার্ক না করায় এটি বাণিজ্যিকভাবে বিশাল সফলতা অর্জন করলেও তাতে আর্থিকভাবে খুব একটা লাভবান হননি মাকি। ২০২১ সালে টোকিওতে নিজবাড়িতে মারা যান মাকি। তিনি অনেকদিন ধরে পিত্তনালীর ক্যানসারে ভুগছিলেন।

দিবসআন্তর্জাতিক জৈব-জ্বালানি দিবস

কেএসকে/এসইউ/এমএস

Advertisement