বাংলাদেশের মেয়ে অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি গেল ১৪ বছর ধরে স্থায়ীভাবে আয়ারল্যান্ডে বাস করছেন। গেল বছর তিনি ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাব পেয়েছেন। সর্বশেষ জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠিত মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন। সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের একটি চলচ্চিত্রেও।আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই মডেল ও অভিনেত্রীর রয়েছে আরো একটি চমৎকার পরিচয়। সমাজ ও মানুষের জন্য সুযোগ হলেই কিছু করতে ছুটে যান তিনি। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সময়ে প্রিয়তি অংশ নিয়েছেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কার্যক্রমসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে। ইচ্ছে আছে বৃদ্ধদের জন্যও কিছু করার। নিজের সুন্দর মানবিক দিক থেকে এবার প্রিয়তি সোচ্চার হয়েছেন বাংলাদেশে মায়েদের বিশেষ একটি অধিকার বা সুবিধা আদায়ে। আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রিয়তি আক্ষেপ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শপিং মল বা রেস্টুরেন্টগুলোতে সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য মা’দের জন্য আলাদা কোনো রুমের ব্যবস্থা নেই বলে।প্রিয়তি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এত বড় বড় শপিং সেন্টার আছে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে, কিন্তু সেগুলোতে সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য মা’দের জন্য আলাদা রুম করে না কেন? সবখানে এজন্য একটা করে রুম রাখা উচিত। এমনকি রেস্টুরেন্টেও সন্তানকে দুধ পান করানোর সুরক্ষিত ব্যবস্থা থাকা উচিত।’এই পাইলট মডেল আরো লেখেন, ‘চলুন মায়ের জন্য আওয়াজ তুলি.....’এই দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রিয়তি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নারীরা-মায়েরাও এখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাধ্য হয়েই তাদের বাইরে কাজ করতে হয়, থাকতে হয়। অনেকেই সঙ্গে বাচ্চা নিয়ে যান। তাছাড়া কেনাকাট করতে অনেক নারীরাই ছোট বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে যান। তাদের প্রয়োজন হতে পারে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে সেই ব্যবস্থাটি নেই। তাই বাচ্চারা দুধের জন্য কান্নাকাটি করলে মায়েদের বিব্রত হতে হয়। আমরা এখন অনেক সচেতন হয়েছি সবকিছুতেই। আমার মনে হয় এবার এই বিষয়টির দিকেও নজর দেয়া উচিত।’এদিকে প্রিয়তি জানালেন আসছে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসবেন ১০ দিনের সফরে। এই সফরে তিনি দুটি শিশুকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন। এছাড়া দুটি ফাউন্ডেশনেও সফর করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে প্রিয়তি খবুই উচ্ছ্বসিত বহুদিন পর এবার দেশের মানুষের সঙ্গে এক হয়ে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করতে পারবেন বলে। তিনি জানালেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে যাবেন। সেইসঙ্গে দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাংলাদেশে বসন্ত বরণ করবেন তিনি- এই বিষয়টিও তাকে বেশ আনন্দিত করছে। প্রিয়তিকে স্বাগতম।দেখুন প্রিয়তির উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র : এলএ
Advertisement