কারিগর
Advertisement
বুঝেছি তারপরনা জানার মতো দূরত্বেসরে গেছো মেলা;নিন্দার অন্ধরে বেসুরো আছিভয়ে ভয়ে স্ব-মোহনে এখন—
বলো তো রোজমাতাল আমিযদি হতে পারতামতোমার গন্ধে মাতাল; তুমুল এক বরফক্ষিধে ও ক্ষত থেকে নদী নদী পরে—না জাগার মতোই ঢুকে যেতামস্ব-মিলের তোরঙ্গে।
অথচ তারপরনদী ও তুমিহয়ে গেছো মাতাল তুমুল।আলাদা করে চিনতে পারি না আরআমিও যেতে পারি না দূর!
Advertisement
**
পৌষের রাখাল
বিশেষ বিশেষ মুহূর্তেমনে হয় হেসে ফেলিহঠাৎ কেঁদেও ফেলতে ইচ্ছে হয়জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে চুপ হয়ে যাই
পৌষের রোদ মুখে নিয়ে হইহই করেএগিয়ে যাইমনে মনেভাবতে থাকি রোদ বিচ্ছিন্নতা;কখনো বদলে যায় নিরবতার রংকচি সন্ধ্যার মুখে পরি'র কবুতর খেলেমুহূর্ত অনেকহিসেব থাকে না কোনো...
Advertisement
মায়ের কাছে চিঠি লিখি—মাগো আমি রোজ বিক্রি হচ্ছিমাগো আমি মাথা থেকে ছিলা’র সুবাস হারাচ্ছিমাগো আমি আর ফিরবো না...
একটি বিশেষ মুহূর্তনিদ্রিত গানের মতো হেঁটে হেঁটে তব্দা খেয়ে যায়মুঠো থেকে ছড়িয়ে পড়ে কাগজের পিঁপড়াঅনেক মুহূর্ত;কোনো হিসেব থাকে নাচিতই পিঠার ভাপে উড়ানো হেঁসেলেরহদিস থাকে নাশিশির ঠোঁটে শহরে আসা যুবকের...
**
গর্ত
সাহসের অভাবেনিজে নিজে খুন হই।ফুল কিনে জোয়ারেভাটায় গজিয়ে উঠি মৃত্যুর গায়ে—
অবসর এলেওআবার ফিনফিনে ঘেউ ওঠে ছুরির ঘোরে;দাঁতে-দাঁত—মাঠের কর্ষণ ছিঁড়ে কলমির ফেউয়ে...
রক্ত, পিতাহীন বৃক্ষের দরদেফুটে আছি গোলায়;কলাইয়ের কানে মুখ রেখেছুটি হই—সাহসী নই কোনোতবুও কিনছি ঢেউ...
**
ফেক আইডি
কার শরীরে জড়িয়ে পড়েছে আলোহীন ছায়া; এতিম বরফের পাশে আমিও উপবাসী— কূলে কূলে সাঁতরে সমুদ্রের কি আর চেনা যায়! যদিও চোখের অতলে ডুবিয়েছি ছেঁড়া আসবাব।
মিহি স্পর্শে ভয়রঙা অন্ধকার—তুমিও জেগে আছো! কী বিনিময় আছে এসবের? লালশব্দে মুছে দিলাম। পেছনের আয়না—এবার ইচ্ছেমতো ঘুড়ি ভাসাও;
ঘড়ির কাঁটা গুনে অতি সাবধানে আসছে ভোরবৈভব দাঁড়িয়ে আছে মিত্রে! শেষ রাতে অ্যাম্বুলেন্স বাজিয়ে কার অসুখের কথা জানিয়ে গেল...
প্রিয়তমা তুমি ভালো আছো তো?
**
রেডিও
তুমি তো রেডিও দুঃখের গীতবিতানলাজুক সম্ভ্রমে জেগেই থাকো পুষ্পিত পিরামিডে—বর্ণগুহায় মৈত্রীয় আখ্যান ভুলে শিথানের কথকচাবিতে;
দুঃখ তো মাসতুতো বোন—স্বপ্নে আসা পরি— অথবা সকালের সংবাদপাঠিকা।দুঃখেরা স্বপ্নে উড়েময়ূর সঙ্গম বাজায় প্রীতির অভ্যন্তরে—
তুমি তো রেডিও বেজে চলো সুখে-অসুখে...
এসইউ/জিকেএস