দেশে বিদ্যমান সরকারি, এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি বা প্রাইভেট—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরাও আজ তিনটি ভিন্ন পরিচয় বা পদমর্যাদার অধিকারী। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কখনোই বেসরকারি শিক্ষক পরিচয়ে পরিচিত হতে পারেন না কিংবা হওয়া সমীচীন নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সব সরকারি বিধি মেনে চলতে বাধ্য থাকতে হয় এবং তাঁরা সরকারি বিধি মোতাবেক ছুটিসহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। আবার বেসরকারি বা প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পার্থক্য অনেক।বর্তমান সরকার যে শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়াতে আন্তরিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার সে কথা প্রমাণিত হয়েছে। আমি মনে করি, এমপিওভুক্ত লাখ লাখ শিক্ষককে বেসরকারি শিক্ষক না বললে তাঁদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদে কর্মরত নন-এমপিও শিক্ষকদেরও বেসরকারি শিক্ষক বলা যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করি। তাঁদেরও বেসরকারি না বলে নন-এমপিও শিক্ষক বলাই যৌক্তিক। কারণ নন-এমপিও শিক্ষকরাও সরকারি বিধি মোতাবেক সব ধরনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়, যাদের শুধু পাঠদানের অনুমতি ছাড়া সরকারি কোনো বিধিবিধান মেনে চলতে হয় না, যেসব শিক্ষকের সুনির্দিষ্ট চাকরিকাল নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা বেসরকারি শিক্ষক হিসেবে অভিহিত হতে পারেন। তাই সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে তাদের বক্তব্য, বিবৃতি ও প্রতিবেদনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেসরকারি শিক্ষক নয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক বলাই যুক্তিসংগত। লেখক : কলেজ শিক্ষক।এসইউ/পিআর
Advertisement