মাছ চাষ করে দ্রুত আয় করা যায়। তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় মাছ চাষিদের। যেমন, অনেক সময় পুকুরে মাছ ভেসে ওঠে। মাছ মারা যাওয়ার আগে মাছ পুকুরে ভেসে ওঠার মতো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। মাছ চাষের আগে এ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
Advertisement
পুকুরে মাছ ভাসার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এসব কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতা। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে পানির ভেতর থেকে। আবার পুকুরের অন্যান্য অণুজীব ছাড়াও ফাইটোপ্লাঙ্কটন, জুপ্লাঙ্কটন অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। এসবের পরিমাণ বেড়ে গেলে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।
মাছ পানির উপর স্তরে এসে খাবি খায় তখন সহজেই বোঝা যায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। এসময় অ্যারেটর যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং হররা টানলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি সমস্যা হলে অক্সিজেন পাউডার অথবা অক্সিজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
খাবার বেশি দিলে এবং খাবার হজমে সমস্যা হলে মাছ ভেসে উঠে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে খাবার দিতে হবে। পারতপক্ষে ভাসমান খাবার দিতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, জানতে হবে মাছ ভাসার কারণ কি, প্রতিকার কি হতে পারে এবং কি পরিচর্চা নিলে অক্সিজেনের কমতি হবে না ।
Advertisement
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পরিমিত জায়গার চাইতে বেশি পরিমাণ মাছ পুকুরে রাখলে মাছের অক্সিজেন ঘাটতি হয় এবং মাছ ভেসে ওঠে। সেই সঙ্গে মাছ মারা যায়। প্রয়োজনে বাজারজাত করার উপযোগী মাছ পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
মাছের খাবার হিসেবে ডুবন্ত খাবার ব্যবহার না করাই ভালো। ভাসমান খাবার ব্যবহার করলে মাছ কতটুকু খায় সে বিষয়ে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান খাবার দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরের তলায় পঁচে কোনো সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না।
বাড়িতে বা পুকুরের স্টোর রুমে অক্সিজেন ট্যাবলেট বা পাউডার রাখা দরকার। মাছ ভাসলে কিংবা অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ সকালবেলা ভাসলে চুন দিয়ে দিতে হবে। যদি দুপুরে ভাসে তাহলে লবণ দিয়ে দিতে হবে। শতক প্রতি ২০০ গ্রাম কিংবা পরিমাণ অনুযায়ী। এভাবে মাছের পরিচর্যা করলে মাছ আর ভেসে উঠবে না।
এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement