রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালুর বাড়িতে গভীর রাতে গুলি চালানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ আগস্ট) দিনগত গভীর রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার রানীবাজার মুন্সিডাঙ্গা এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
Advertisement
পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি দুটি শর্টগান, একটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন ও শতাধিক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অস্ত্রধারীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে দুইজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ওয়াহিদ জামিল মুরাদ লিঙ্কন (৪৬) ও তার গাড়িচালক সজল আলি (৩৮)।
এ ঘটনায় রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন আতিকুর রহমান কালু। পরে তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Advertisement
আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু জানান, ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। অন্যান্য দিনের মতো রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১টার দিকে বাসার প্রধান ফটকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও গালাগালি শুনে ঘুম ভাঙে তার। তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে গেটম্যান আমজাদের কাছে ঘটনা জানতে চান। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি ছোঁড়েন। তবে তিনি দ্রুত মাথা নিচু করায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বারান্দার গ্রিলে লাগে। একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসা অস্ত্রধারীরা পরে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। প্রাইভেটকারটির পথ অনুসরণ করে পুলিশ রাত ২টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকার জামিল মুরাদ লিঙ্কনের বাসায় পৌঁছায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় অস্ত্রধারী তিনজনকে। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং তাদের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার লিঙ্কন নিজেকে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক পরিচয় দিয়েছেন। কেন তারা গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা কালুর বাড়িতে গিয়ে গুলি চালিয়েছেন সেই তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এনায়েত করিম/এমআরআর/জিকেএস
Advertisement