কিউআর কোড (QR Code)-এর সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিল পেমেন্ট কিংবা ওয়েবসাইট ভিজিট সব ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার হচ্ছে এই হিডেন কোড। সাদা-কালো এই চক্রাবক্রা আকারের চারকোণা ঘরটি স্মার্টফোনে স্ক্যান করলেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউআরএল (URL), মোবাইল নম্বর বা বিল পেমেন্টের অপশন।
Advertisement
এমন ‘প্যাটার্ন’-এ তা বিন্যস্ত থাকে, যাতে এটির মধ্যে কোন নম্বর বা ওয়েবসাইটের ঠিকানা লুকিয়ে আছে কি না তা খালি চোখে দেখে বোঝা না যায়। বর্তমানে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করছে সারা বিশ্ব। নগদ পরিবহণের ঝক্কি যেমন কমায়, তেমনি সময়ও কম লাগে। শুধু স্মার্টফোনের সাহায্যেই সেরে ফেলা যায় যে কোনো লেনদেন।
গত দুই দশকে অনলাইন পেমেন্টের জন্য কিউআর কোড জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেনাকাটা হোক বা অর্থ লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে কিউআর কোডের ব্যবহার করে অর্থপ্রদানের পদ্ধতিকে অনেক সহজ করে তোলে। কিউআর কোড হচ্ছে-‘ক্যুইক রেসপন্স কোড’ (Quick Response Code)। নাম থেকেই বোঝা যায় যে কিউআর কোড খুব দ্রুত কাজ করতে পারে।
চাইলে নিজেই আপনার প্রতিষ্ঠান বা যে কোনো কিছুর জন্য কিউআর কোড বানিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য কোনো বিশেষজ্ঞেরও প্রয়োজন হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নিজে স্মার্টফোনেই কাজটি করতে পারবেন-
Advertisement
>> স্মার্টফোন বা ডেস্কটপ ব্রাউজার থেকে যে কোনো ‘কিউআর কোড মেকার’ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
>> এরপরে সেখানে অনেকগুলো বিকল্প পাবেন। যেমন- ইউআরএল, ইমেজ, ভিকার্ড, ই-মেইলসহ আরও বিভিন্ন কিছু।
>> এবার আপনার প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের ইউআরএল লিখুন।
>> ইউআরএল দেওয়ার পরই ওয়েবসাইটের কিউআর কোড তৈরি হয়ে যাবে।
Advertisement
>> আপনার পছন্দ মতো কিউআর কোডের ফ্রেম, আকৃতি এবং রং কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
>> সংরক্ষণ করতে ডাউনলোড অপশন বেছে নিন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, হাবস্পট
কেএসকে/জেআইএম