আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে লোডশেডিং অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বিদ্যুতের উৎপাদনও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
রোববার (৭ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বাড়লেই অক্টোবর মাস থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হবে লোডশেডিং।
লোডশেডিং কমাতে এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
Advertisement
এদিকে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জানান, এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নিলেও মন্ত্রণালয় থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এফবিবিসিআইয়ের নেতারা বলেন, তেলের দাম বাড়ায় পণ্য সরবরাহে ব্যয় বাড়বে।
এসময় বাসের মতো ট্রাকেরও ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান এফবিবিসিআইয়ের নেতারা।
জনগণের কথা সরকারের মাথায় আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কে চায় মানুষকে ভুক্তভোগী করতে? কেউ চায় না। আমরা বুঝতে পারছি।
Advertisement
তিনি বলেন, এই সমস্যাটা সাময়িক। বিদ্যুৎ বিভাগ মনে করছে, আগামী মাস থেকে লোডশেডিং থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসবে। এখন যেমন আছি, আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থা হবে।
গ্যাস-বিদ্যুৎ সমন্বয় করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদন বাড়াবো। গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করবো। অক্টোবর থেকে পুরোপুরি আগের অবস্থা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দিকে যেতে পারবো। সবাইকে অনুরোধ করবো, সবাই যেন ধৈর্য ধরেন।
এমআইএস/জেডএইচ/জিকেএস