দু’হাতই অকেজো। পায়ের পাতাও আর দশজনের মতো স্বাভাবিক নয়। তবুও থেমে নেই সালসাবিলার পথ চলা। জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে চলেছে সে। পুরো নাম সালসাবিলা আক্তার। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় মাহিগঞ্জ গার্লস স্কুল ও কলেজ থেকে অংশ নিয়ে চমকে দিয়েছে সবাইকে। পরীক্ষা দিচ্ছে কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।রংপুর নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ খোর্দারপাড়া গ্রামের শাজাহান মিয়ার একমাত্র মেয়ে সালসাবিলা পিএসসিতে জিপিএ ৩ এবং জেএসসিতে ২. ৩১ পেয়ে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।সোমবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় তার বাবা শাজাহান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে সেচ প্রকল্পে মেকানিক্যাল পদে কর্মরত আছেন। মা রোকসানা বেগম গৃহিনী। দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। শাজাহান মিয়া জাগো নিউজকে জানান, জন্মের পর থেকেই তার এ অবস্থা। হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। পায়ের পাতা দুটো বাঁকানো হওয়ায় ঠিকমতো হাঁটতেও পারে না সে। পেশাগত কারণে বাইরে থাকায় তার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সালসাবিলার দেখাশোনা করেন। তাদের সাহায্য নিয়েই চলাচল করতে হয় তাকে। তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সালসাবিলা। তিনি জানান, বড় ছেলে কারমাইকেল কলেজে মাস্টার্সে পড়ছে। সালসাবিলারও ইচ্ছে ভাইয়ের মতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সেও দেখিয়ে দিতে চায় প্রতিবন্ধিতা কোনো বাঁধাই না তার কাছে। তাই মেয়ের ভবিষ্যৎ ইচ্ছে পূরণে সকলের দোয়া কামনা করেছেন বাবা শাজাহান মিয়া।জিতু কবীর/এমজেড/পিআর
Advertisement