বগুড়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সোর্সকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ায় (নাপিতপাড়া) এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তার নাম মাসুদ রানা। তিনি সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তাকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোর্স ইকবালকে আটক করে সদর থানায় রাখা হয়েছে।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরের দিকে নাটাইপাড়ার অরুণ কুমার শীলের বাসায় যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে অরুণ শীলের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। এ সময় ওই বাসায় কয়েকজন যুবক ছিলেন। পুলিশের সোর্স ইকবাল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায় বাড়ির লোকজন পুলিশের উপস্থিতি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন শুরু করলে এসআই মাসুদ রানা তাদের মারপিট করেন।
অরুণ কুমার শীল জানান, পুলিশ বাড়ির নারীদেরকেও মারপিট শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশ ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম জানান, এসআই মাসুদ রানাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাসুদ রানার সোর্স ইকবালকে আটক করা হয়েছে। ওই বাড়িতে কী ঘটেছিল তাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্সকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধারের কথা স্বীকার করেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা।
Advertisement
এসআর/এএসএম