রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে তাদের দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা) দেশগুলোর আরও সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ব্রুনাই দারুস সালামের দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা ব্রুনাইকে জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন। এজন্য মিয়ানমারকে রাজি করতে আসিয়ান দেশগুলোকে আমি আরও সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থন দিতে আহ্বান জানাই।
এ সময় আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে ব্রুনাই দারুস সালামের সমর্থন প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।
বৈঠকে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জলজ চাষ ও মৎস্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ, সংযোগ (কানেক্টিভিটি), আইসিটি, পর্যটন, হালাল বাণিজ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মত হন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তারা।
এ সময় মহামারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়ে যাওয়া ব্রুনাইয়ের সুলতানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ। ড. মোমেন এমন আগ্রহকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং উভয় মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে একমত হন।
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমানে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে কম্বোডিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
এমপি/এএসএম