একুশে বইমেলা

সাজাতেই দিন পার

মেলার প্রথমদিন। দর্শনার্থীর কমতি ছিল না। মেলায় প্রবেশের জন্য সোমবার দুপুরের পর থেকেই শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর এলাকায় হাজার হাজার দর্শকের অপেক্ষা চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করে বিকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করলে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। প্রাণের মেলায় উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে মুখোরিত হয়ে উঠে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তবে মেলার প্রথমদিনে দর্শকের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও অধিকাংশ স্টলই পরিপূর্ণভাবে সেজে উঠেনি।

Advertisement

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিকাংশ স্টলই সাজানোর কাজে ব্যস্ত প্রকাশনীর লোকেরা। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রকাশনীর স্টল সাজানোর কাজ করছিলেন বায়েজিত হাসান। তিনি বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে কাজ করতে পারি নাই। তবে রাতের মধ্যেই স্টল সাজানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। স্টল সাজানোর কাজে ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমির লোকজনও। নাম প্রকাশ না করে একজন বলছিলেন, ‘প্রথমদিন তো। আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে বই চলে আসবে। আশা করছি, মেলার দ্বিতীয়দিনে স্টল পূর্ণতা পাবে।’  অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিধি গতবারের তুলনায় এবারে বেড়েছে। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠান, বরাদ্দকৃত ইউনিট এবং প্যাভেলিয়নের সংখ্যার ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।এ বছর মেলায় সর্বমোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারে ১ ইউনিটের ১৯৮টি, ২ ইউনিটের ২৬৬টি, ৩ ইউনিটের ১১১টি স্টল এবং ৪ ইউনিটের ৭৬টি স্টল থাকছে। এ বছর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বমোট ৫৪০ ইউনিট বরাদ্দ থাকছে। আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকছে ৮২ প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ১১১টি ইউনিট।মেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা ও ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।এএসএস/একে