বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে গতানুগতিক কাজ করার মানুষের অভাব নেই। গতানুগতিক কাজের ফল গতানুগতিকই হয়। তাই গতানুগতিকতা থেকে বের হয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি করতে অনেক সময় বেশি টাকা সরবরাহ করতে হয়। আর এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আউলিয়াপুর ইউনিয়নে `দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারসমূহ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি` (সমৃদ্ধি) বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।ইএসডিও নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থপক ড. জসীম উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী, ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান, আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ প্রমুখ।
Advertisement
কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লে গরীব মানুষের বেশি ক্ষতি হয়। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধি সুবিধা গুটিকয়েক লোক ভোগ করে। এসব উন্নয়নের বিষয়ে সুষম বন্টনের তাগিদ দেনে তিনি। কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে হলে সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রে রাখতে হবে। দারিদ্রতা আমাদের অনেক কমেছে। কিন্তু দরিদ্রতার নানা দিক রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থিক সেবায় মানুষকে এগিয়ে নিতে হবে।তিনি বলেন, সমৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তিই পারে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে। দরিদ্র, হতদরিদ্র, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়ন তখনই ঘটবে যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে। আমরা চাই সব মানুষেই যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায়।পরে আউলিয়াপুর কচুবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে সমৃদ্ধি মেলার উদ্বোধন করে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এ ইএসডিওর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।উল্লেখ্য, দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারসমূহ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সমৃদ্ধি) শীর্ষক সমন্বিত কর্মসূচি পিকেএসএফের সহায়তায় ইএসপিওর মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচির নানামুখি ও লাগসই কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতেই ইতোমধ্যে আউলিয়াপুর বৃহত্তর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।রবিউল এহ্সান রিপন/এআরএ