নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বকুল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈইলারকান্দি গ্রামে ভূইয়া বাড়ির রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পোল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
নিহত বকুল মিয়া নরসিংদির মাদবদী জোয়াইরাকান্দা এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। তবে তিনি একই এলাকার দুলাল ভান্ডারীর পালক সন্তান ছিলেন। তিনি ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষক শরীফ বলেন, আমার বাড়ির পাশে স্থাপিত বিদ্যুতের খুঁটিতে ট্রান্সফরমার রাতের আধারে চুরির চেষ্টা করা হয়েছে। এটি সেচের ট্রান্সফরমার ছিল। রাতের যে কোনো সময় লোডশেডিং চলাকালিন সুযোগ বুঝে ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করে। আর এ সময় বিদ্যুৎ চলে এলে বিদ্যুতায়িত হয়ে খুঁটিতেই ঝুলে থাকে ওই যুবক।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার একই স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা অর্থ সংগ্রহ করে ফের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। এই সঞ্চালন লাইন থেকে প্রায় শতাধিক গ্রাহক বিদ্যুতের সেবা নিচ্ছেন।
Advertisement
ওয়ার্ড সদস্য রাসেল বলেন, রাতের আঁধারে এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। পুনরায় ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে গিয়ে তাদের অর্থ গুণতে হয়েছে।
আড়াইহাজার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আসাদুজ্জামান বলেন, একটি চক্র উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করছে। নিহত ব্যক্তিও ট্রান্সফরমার চুরি করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে পারেন। রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পোলে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে উদ্ধার করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে পারেন ওই যুবক। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। নিহতের প্যান্টের পকেটে একটি এনড্রোয়েট মোবাইল, একটি প্লাস ও একটি স্ক্রুড্রাইভার পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/এমএস
Advertisement