কৃষি ও প্রকৃতি

আমনের মধ্যকুশি পর্যায়ে করণীয় জানিয়েছে ব্রি

বর্তমান আবহাওয়ার পূর্বাভাসভিত্তিক ধান উৎপাদন ব্যবস্থাপনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। বর্তমান পরিস্থিতিতে চারটি বিষয়ে নজর রাখতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

Advertisement

কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা: এখন মধ্যকুশি পর্যায়ে ধানে পাতামাছি, পামরী ও মাজরা পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবার জমিতে দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকলে চুঙ্গি পোকার আক্রমণও হতে পারে। সেজন্য জমিতে ডালপালা পুঁতে দেওয়া, হাত জাল দিয়ে পোকা ধরা, আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা, ডিম ও কীড়া (বাচ্চা) ধ্বংস করা যেতে পারে। এছাড়া অনুমোদিত কীটনাশক যেমন: ডায়াজিনন, কার্বোফুরান, ভিরতাকো, মেলাথিয়ন ও ডার্সবার্ন ইত্যাদি পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

চুঙ্গি পোকার আক্রমণ হলে জমি থেকে দাঁড়ানো পানি সরিয়ে দিতে হবে। এ সময় পানির সঙ্গে পোকার চুঙ্গি যেন জমিতে ছড়াতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে পোকারোধী কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা: দ্বিতীয় কিস্তি (১/৩ ভাগ) ইউরিয়া সার যদি আগাম কুশির সময় প্রয়োগ না করা হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই বৃষ্টিমুক্ত দিনে প্রয়োগ করতে হবে। এর ফলে কুশি উৎপাদনে বাড়তি কোনো সমস্যা হবে না। সারের পরিমাণ নির্ভর করবে, ধানের জাতের জীবনকালের ওপর। লেট পোস্ট ইমারজেন্স আগাছানাশক চারা রোপণের ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে অথবা হাত নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।

Advertisement

সেচ ব্যবস্থাপনা: আগামী সাতদিন যদি বৃষ্টিপাত থাকে, তবে ধান গাছের মধ্যম কুশি পর্যায়ে জমিতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নাইট্রোজেন সারের উপরি প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি জমিতে অধিক পানি থাকে, তবে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। অল্প ছিপছিপে পানিতে নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করলে সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

রোগবালাই ব্যবস্থাপনা: বর্তমানে সারা দেশে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে এবং ধান গাছের বর্তমান বৃদ্ধি পর্যায়ে বাকানী ও টুংরো রোগ দেখা দিতে পারে। বাকানী রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত কুশি ভেঙে দিতে হবে। আর টুংরো রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত গাছ তুলে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। আর বাহক পোকা সবুজ পাতা ফড়িং হাত জাল বা আলোক ফাঁদ বা কীটনাশক প্রয়োগ করে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

এনএইচ/এমপি/জেআইএম

Advertisement