বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের জীবনধারণ কেমন কিংবা তারা জীবন নিয়ে কী ভাবেন তা জানার আগ্রহ কমবেশি সবার মনেই আছে। আসলে সবারই জীবনের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান আছে।
Advertisement
সে হিসেবেই সবাই এগিয়ে চলেন। ঠিক তেমনই বিল গেটস থেকে শুরু করে মুকেশ আম্বানি, ইলন মাস্কসহ বিশ্বের আসুন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের জীবনেও আছে নিজস্ব রীতিনীতি।
যা তারা সবাই কমবেশি অনুসরণ করেন। বিশেষ করে বিশ্বসেরা ধনী ব্যক্তিদের কিছু সহজ-সরল অথচ সাফল্যময় অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন। যা হয়তো আপনিও অনুসরণ করে সফলতা পেতে পারেন...
ইলন মাস্ক
Advertisement
আনুমানিক ২৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক বিশ্বসেরা ধনীদের মধ্যে অন্যতম। তাকে কে না চেনেন! ইলন মাস্কের একটি অভ্যাস আছে, যা তিনি দৈনিকই করেন।
আর তা হলো, দিনের কিছুটা সময় তিনি ব্যয় করে পড়ায়। তিনি একজন নিয়মিত পাঠক। বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্ঞান অর্জনের জন্য নিয়মিত জ্ঞানার্জনের মধ্যেই থাকেন তিনি।
জেফ বেজোস
অ্যামাজনের সাফল্যের গল্প নিয়ে জেফ বেজোস শীর্ষে উঠেছেন। গ্রহের ব্যস্ততম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হওয়া সত্ত্বেও জেফ দিনে অন্তত একটি কাজ করতে সময় বের করেন যা তিনি পছন্দ করেন।
Advertisement
ব্যস্ততার খাতিরে নিজের ভালোলাগা ও ভালোবাসা যাতে মরে না যায় সেজন্যই তিনি নিজেকে ভালো লাগার কাজের মাধ্যমে চিয়ার আপ করেন।
গৌতম আদানি
সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় উঠেছে তার নাম। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যেও আছে তার নাম। গৌতম চমৎকার যোগাযোগ ও আলোচনায় পারদর্শী। তিনি নিয়মিত এই দক্ষতা অনুশীলন করেন।
বিল গেটস
বিল গেটস তার সাফল্যের গল্প দিয়ে অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। বেশিরভাগ মানুষই ভাবে বিলিয়নেয়াররা এদিক-ওদিক টাকা খরচ করেন, যা চান তা ই কিনতে পারেন ইত্যাদি।
তবে সেদিক দিয়ে বিল গেটস একদমই উল্টো স্বভাবের। তিনি অর্থ ব্যয় করার পরিবর্তে তা সংরক্ষণে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। নিজে খরচ না করে বরং দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিলিয়ন ডলার দান করেন এই ধনী।
বার্নার্ড আর্নল্ট
বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয়ভাবে ধৈর্য চর্চা করেন। বার্নার্ড বিশ্বাস করেন, ব্যবসা বুঝতে সময়, প্রতিশ্রুতি ও ধৈর্য লাগে।
ওয়ারেন বাফেট
ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের অন্যতম ধনী বিনিয়োগকারী। তার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি হলো, দৈনন্দিন খাবারের উপর বেশি খরচ করতে পছন্দ করেন না তিনি।
বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরের খাবারই বেশি খান তিনি। বেশি ক্ষধু লাগলে বাইরে একটি ৫ ডলারের বার্গার খেয়ে নেন। এভাবেই জীবনধারণ করেন তিনি।
জেএমএস/জিকেএস