ফিচার

এম আর খান ও পলান সরকারের জন্ম

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

১ আগস্ট ২০২২, সোমবার। ১৭ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৬৭২- ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থা চালু হয়।১৮৩৪- ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বাতিল।১৮৬১- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অর্থায়নে ও মনোমোহন ঘোষের সম্পদনায় পাক্ষিক ‘ইন্ডিয়া মিরর’ প্রকাশিত।১৯৭১- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত।১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পেরু।

জন্ম১৮৬৮- বাঙালি লেখক ও স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ মহেন্দ্রনাথ দত্ত।১৯২১- বাংলাদেশি সমাজকর্মী পলান সরকার। নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পলান সরকার রাজশাহী জেলার ২০ টি গ্রামজুড়ে গড়ে তুলেছেন অভিনব শিক্ষা আন্দোলন। নিজের টাকায় বই কিনে তিনি পড়তে দেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষকে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাঁধে ঝোলাভর্তি বই নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মাইলের পর মাইল হেঁটে একেকদিন একেক গ্রামে যান। বাড়ি বাড়ি কড়া নেড়ে আগের সপ্তাহের বই ফেরত নিয়ে নতুন বই পড়তে দেন। এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ‘বইওয়ালা দাদুভাই’ হিসেবে। ২০১১ সালে সমাজসেবায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।

Advertisement

১৯২৮- বাংলাদেশি অধ্যাপক, চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খান। পুরো নাম মোহাম্মদ রফি খান। জন্ম সাতক্ষীরায়। বাবা মা, প্রতিবেশী সবার কাছে ‘খোকা’ নামে বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। সাতক্ষীরা সদরের প্রাণনাথ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এরপর ১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন। সেখান থেকে একই সালে ডিপ্লোমা ইন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (ডিটিএমএন্ডএইচ) ডিগ্রী লাভ করেন। দেশে এসে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশুস্বাস্থ্য) পদে যোগ দেন। শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদক দেয়। ২০০৯ সালে তিনি একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৩০- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ফজলুল হালিম চৌধুরী। ১৯৩৩- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কবি মীনা কুমারী। ১৯৩৮- বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার নাজমুল হক।১৯৪৬- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী খুরশিদ আলম।

মৃত্যু১৮৪৬- বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি দ্বারকানাথ ঠাকুর।১৯৮২- বাঙালি সাহিত্যিক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী।১৯৮৭- বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।১৯৯৯- তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার খ্যাতনামা বাঙালি লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নীরদচন্দ্র চৌধুরী।২০১৪- বাংলাদেশের ৭ম ডেপুটি স্পিকার এল. কে. সিদ্দিকী।

কেএসকে/জেআইএম

Advertisement