রোববার টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার করার দায়িত্ব পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথম বলেই তিনি ফিরিয়ে দেন রেগিস চাকাভাকে। একই ওভারে সাজঘরে পাঠান ওয়েসলে মাধভেরকেও। সেখান থেকে আর থামাথামি। নিজের পরের তিন ওভারে নেন আরও তিন উইকেট।
Advertisement
সবমিলিয়ে টানা চার ওভারের স্পেলে মাত্র ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ সুগম করে দেন এ ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোসাদ্দেকের মূল পরিচয় বোলিং করতে জানা মিডলঅর্ডার ব্যাটার।
কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটিতে মোসাদ্দেককে পুরোদস্তুর বোলার হিসেবেই ব্যবহার করছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনারের একজন হিসেবে খেলছেন মোসাদ্দেক। প্রথম ম্যাচে এক উইকেট পেলেও তাকে পুরো ৪ ওভার করা হয়নি।
দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন মোসাদ্দেক। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সাত উইকেটের সহজ জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মোসাদ্দেকের হাতে। ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক জানিয়েছেন, নিজেকে কখনও খণ্ডকালীন বোলার ভাবেন না তিনি।
Advertisement
মোসাদ্দেকের ভাষ্য, ‘অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে (নিজের পারফরম্যান্সে)। একটা কথা আমি অনেক আগেই বলে আসছি, যখন বোলিং করি নিজেকে কখনও অকেশনাল বোলার ভাবি না। সবসময় আমি ওই দায়িত্বটা নেওয়ার চেষ্টা করি বোলিংয়ের সময়, যে আমি মূল বোলার হয়ে বল করছি।’
এসময় নিজের বোলিংয়ে সাফল্যের রহস্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি ১৬০-৭০ রানের মধ্যে রাখতে পারলে ভালো। অন্য কিছু চেষ্টা করি না। পাঁচ উইকেটের জন্য বোলিং করিনি আসলে, পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। আমি বলবো যে ভালো জায়গায় বল করেছি সেটার ফল হয়তো আমি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেটটা যদি আপনি খেয়াল করেন, বোলারদের জন্য খুব সাহায্য ছিল, আমি সেটা বলব না। অবশ্যই খুব ভালো উইকেট ছিল। আমার মাথায় একটা জিনিস কাজ করছিল, অধিনায়ক যখন আমাকে বল দিয়েছে, বলেছে রানটা যেন আটকে রাখতে পারি প্রথম থেকে।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement