আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার ঘোষণা আসায় মাগুরায় ৩৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে দশ ডজন প্রার্থী দলীয় টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। আর একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুটি দলের নেতাকর্মী, সমর্থকরা। অন্যদিকে কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ায় প্রার্থীরাও রয়েছেন বেকায়দায়। প্রচার-প্রচারণা বাদ দিয়ে তারা দলীয় সমর্থনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে লবিংয়ের পাশাপাশি তৃণমূলের সমর্থন লাভে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় টিকিট পেতে বিভিন্ন এলাকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- মো. আবুল কাশেম, অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, মো. বাকিবিল্লাহ, মো. আনিছ উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আলী আহম্মেদ, প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ, মো. জাহিদ হোসেন, মো. রেজাউল ইসলাম, মা. রফিকুল ইসলাম, খন্দকার মহব্বত আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, লিয়াক আলী মুন্সী, সৈয়দ হাফিজুর রহমান, মো. গোলাম আজম মিয়া, মো. আছাদুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান বিশ্বাস, মো. মফিজুর রহমান, মো. আকতারুজ্জামান, মো. মনিরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী, আব্দুর রাজ্জাক মোল্ল্যা, মো. হাফিজুর রহমান, মো. আরুজ আলী, মো. আবুল হোসেন, মো. রেজাউল আলম, বক্তিয়ার উদ্দিন, আমিনুর রহমান, আব্দুল হালিম মোল্যা, সদানন্দ বিশ্বাস, কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া, মো. মসিয়ার রহমান, কাজী মহিদুল আলম, পারভীন সুলতানা রুমু, মো. শাহজাহান মিয়া, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।আ.লীগ নেতা পলাম মিয়া জাগো নিউজকে জানান, দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় সাধারণ নেতা-কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ায় দুটি দলের সমর্থকরাও দ্বিধাবিভক্ত। এছাড়া অধিকাংশ নেতাকর্মীদের আশঙ্কা তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা না হলে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবির ঘটনা ঘটবে। নেতা-কর্মীদের দাবি স্ব-স্ব দলের সমর্থিত প্রার্থীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনতে হলে তৃর্ণমূলের মতামতের ভিত্তিতে এক প্রার্থী নির্ধারণ করতে হবে।তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক প্রার্থী বলছেন, তাদের পক্ষে দল ও ভোটারদের সমর্থন রয়েছে। এক্ষেত্রে দল তাদেরকেই সমর্থন জানাবে।তবে এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু জাগো নিউজকে জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সমঝোতা বা তৃণমূলের ভোটে একক প্রার্থী নির্ধারণ হবে। দলীয় সমর্থনের বাইরে কেউ প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে দলের নিয়ম অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, মাগুরা সদর থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোকাদ্দেছ আলী জাগো নিউজকে বলেন, এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় এ নির্বাচন বিএনপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে জেলা বিএনপির নের্তাকর্মীরা।আরাফাত হোসেন/এসএস/এমএস
Advertisement