বাংলা সিনেমা নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা ফিরে এসেছে। হলে হলে লাইন টিকিট কাটার। টিকিট না পেয়ে হাহাকার চলছে। অনেক হলে মারপিটের খবরও পাওয়া গেছে। এমন চিত্র দেশীয় সিনেমায় দীর্ঘদিন পর দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
কোরবানি ঈদে অনন্ত জলিলের ১০০ কোটি বাজেটের ‘দিন: দ্য ডে’ দিয়ে যে আলোচনায় বাজার চাঙ্গা হলো তারই সুফল পাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। ‘দিন: দ্য ডে’ ছাড়াও ঈদের ‘পরাণ’ কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দর্শকের বৃষ্টি নামিয়েছে।
আর সেখানে নতুন মাত্রা যোগ করলো ‘হাওয়া’। এ ছবি দিয়ে আবারও হিট সিনেমা উপহার দিলেন ডাইনামিক অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তাকে বলা হয় বড় পর্দার লক্ষী অভিনেতা। গেল এক যুগেরও বেশি সময়ে সেটা তিনি প্রমাণ দিয়েছেন মনপুরা, আয়নাবাজি ও দেবী সিনেমা দিয়ে।
আর সম্প্রতি ‘হাওয়া’ দিয়ে মাতিয়ে দিয়েছেন ভিষণ খরায় ভুগতে থাকা ঢাকাই সিনেমাকে। সবখানেই এ ছবির জোয়ার বইছে। হচ্ছে প্রশংসা। আলাদা করে সবার নজর কেড়েছেন চঞ্চলও। তার অভিনীত চরিত্রটি চান মাঝি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে।
Advertisement
২৯ জুলাই সারা দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। প্রায় সবখানেই হাউজফুল শো দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমাটি। সিনেমাটি নিয়ে প্রায় মাস খানেক ধরে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সাফল্যও পেলেন হাতে হাতে।
এবার ‘হাওয়া’ থেকে বের হয়ে নিয়মিত শুটিংয়ে ফিরছেন চঞ্চল। সেই খবর জানিয়ে রোববার (৩১ জুলাই) ফেসবুকে ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রচারের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘প্রায় মাস খানেক ধরে ‘হাওয়া’র প্রচারণার কাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেলের ইন্টারভিউ, ‘হাওয়া’ কনসার্ট নিয়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে যাওয়া। সব মিলিয়ে উৎসবের মত ব্যস্ততা। ক্লান্তিহীন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা। অবশেষে ‘হাওয়া’ সিনেমা হলে মুক্তি, বিভিন্ন সিনেমা হল পরিদর্শন।’
তিনি আরও লিখেন ‘আবারও ফিরে যাওয়া নিয়মিত শুটিং এ এই তো জীবন এতো এতো মানুষের ভালোবাসা বুকে নিয়ে এগিয়ে চলা প্রতিটা মুহুর্তই আমার কাছে মহা মূল্যবান।‘হাওয়া’র জয়, হোক দর্শকের জয় হোক, বাংলা সিনেমার জয় হোক।’
এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি, শরীফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।
Advertisement
এমআই/এলএ/এমএস