আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশটিতে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একইদিন ইউরোপের মধ্যেও মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্পেন।
Advertisement
ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার বেলো হরিজন্তে শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার অবস্থা গুরুতর ছিল।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত করেছে। সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে সাও পাওলো ও রিও ডি জেনিরোতে। গত ১০ জুন ইউরোপফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম মাঙ্কিপক্স ভাইরাস খুঁজে পায় ব্রাজিল।
মাঙ্কিপক্সের বর্তমান প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভুক্তভোগী দেশ স্পেন। স্প্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৮ জন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে।
Advertisement
তাদের ইমারজেন্সি অ্যালার্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার শুক্রবার এক নোটে বলেছে, প্রাপ্ত তথ্যসহ ৩ হাজার ৭৫০ জন (মাঙ্কিপক্স) রোগীর মধ্যে ১২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।
মারা যাওয়া রোগীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি স্প্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। বলেছেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতাআমেরিকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। যুক্তরাজ্যে প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত ৭ মে।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮টি দেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এর জেরে এক সপ্তাহ আগে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
Advertisement
ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ইউরোপে এবং ২৫ শতাংশ পাওয়া গেছে আমেরিকার দেশগুলোতে।
গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের টিকা ‘ইমভানেক্স’ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা, এনডিটিভি
কেএএ/এএসএম